Parno Mittra

Parno Mittra: আগে পুজোয় বায়না করার অনেক লোক ছিল, এখন লোকে আমার কাছেই বায়না করে: পার্নো

ছোটবেলার পুজো একদম অন্য রকম ছিল পার্নো মিত্রের। কী করতেন তিনি?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২১ ১১:৫৪
ছোটবেলার পুজোগুলি অনেকটা অন্য রকম ছিল পার্নো মিত্রের জন্য।

ছোটবেলার পুজোগুলি অনেকটা অন্য রকম ছিল পার্নো মিত্রের জন্য।

পুজো মানেই পাঁচ দিন শাড়ি পরা, পাড়ার প্যান্ডেলের ভোগ আর বাড়িতেই আড্ডা মারা। তবে ছোটবেলার পুজোগুলি অনেকটা অন্য রকম ছিল পার্নো মিত্রের জন্য। পুজোর ঢাক শুনলেই সেই স্মৃতি ভিড় করে আসে নায়িকার মনে।
পার্নোর বেশির ভাগ পুজোর স্মৃতি জুড়ে রয়েছেন তাঁর বাবা। ছোটবেলায় বাবার কাছে কী কী বায়না করতেন, বাবার সঙ্গে অষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়া, একসঙ্গে বসে পাড়ার প্যান্ডেলে ভোগ খাওয়া— বার বার মনে পড়ে যায় তাঁর। ‘‘বেশির ভাগ পুজো কাটত পাড়ার প্যান্ডেলে। কাছাকাছি একটি মেলাও বসত। রোজ নতুন জামা পরে সেই মেলায় ঘুরতে যেতাম। আমাদের ওখানে একজন বয়স্ক ভদ্রলোক ছিলেন যিনি প্রত্যেক বছর বেলুন বিক্রি করতেন। রং-বেরঙের বেলুন দেখে আমার খুব লোভ হত। আমি খুব বায়না করতাম বেলুন কেনার জন্য। আসলে ছোটবেলায় অনেক লোক ছিল আমার আশপাশে, যার কাছে নানা রকম বায়না করা যেত। হঠাৎই দেখলাম আমি বড় হয়ে গিয়েছি। বায়না করার লোক একটু একটু করে কমতে লাগল। আর যারা আমার কাছে বায়না করবে, তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকল। এখন পুজো মানেই অন্যদের বায়না সামলানোর দায়িত্ব,’’ খানিকটা আক্ষেপের সঙ্গে বললেন পার্নো।

Advertisement
পার্নোর বেশির ভাগ পুজোর স্মৃতি জুড়ে রয়েছেন তাঁর বাবা।

পার্নোর বেশির ভাগ পুজোর স্মৃতি জুড়ে রয়েছেন তাঁর বাবা।

তবে পুজোর সময়ে এখনও হাসি-ঠাট্টা-আনন্দের সঙ্গেই কাটে নায়িকার। এখনও পাড়ার ঠাকুর দেখেন, পাড়ার ভোগ খান, খুব সাজগোজ করেন এবং বাড়িতেই বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দেন। ‘‘এখনও আমরা অতিমারির কবলে। বাড়িতে অসুস্থ মা রয়েছে। তাই আমি এ বছর খুব একটা ঘোরাফেরা করব না। পাড়ার মধ্যেই থাকব। আড্ডা মারব।জমিয়েখাওয়াদাওয়া করব,’’ বললেন পার্নো।

ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখা না থাকলেও সাজগোজ নিয়ে কোনও রকম আপোস করতে রাজি নন নায়িকা। শাড়ি পরতে দারুণ ভালবাসেন তিনি। তাই এই পাঁচ দিন টানা শাড়ি ছাড়া আর কিছুই পরেন না। প্রত্যেক বারের মতো এ বারও তাই করবেন বলে ঠিক করে নিয়েছেন। পুজোয় ক’টা শাড়ি কিনলেন? ‘‘এখন অনেক সময়ে আলাদা করে শাড়ি কেনার আর প্রয়োজন হয় না আমার। মায়ের শাড়ির সংগ্রহ যা দারুণ, সেখান থেকেই হয়ে যায়। মা এখন আর বেশি বেরোতে পারে না। তাই মায়ের আলমারি থেকে আমিই সব শাড়ি টেনে টেনে বার করি। এ বারও তাই করেছি। সঙ্গে মানানসই ব্লাউজগুলি আগেই বানিয়ে রেখেছি,’’ এক গাল হেসে বললেন পার্নো।

Advertisement
আরও পড়ুন