হাতে-পায়ে অবাঞ্ছিত লোম বেশির ভাগ নারীই পছন্দ করেন না। বিশেষ করে যাঁরা স্লিভলেস কিংবা শর্ট ড্রেস পরতে পছন্দ করেন। গরমও বাড়ছে শহরে। ফলে বাড়বে এই ধরনের পোশাক পরার ঝোঁকও। কিন্তু তার জন্রয বার বার স্যালোঁতে গিয়ে ওয়াস্কিং করানো যথেষ্ট ব্যয়সাপেক্ষ। তাই বলে কি পছন্দের পোশাকটি পরবেন না? অবশ্যই পরবেন। হাতে কিছুটা সময় বের করে নিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন সুগার ওয়াক্স।
কী কী লাগবে?
- পাতিলেবুর রস: ২ টেবিল চামচ
- চিনি: ১ কাপ
- জল: ২ টেবিল চামচ
- স্টেনলেস স্টিলের পাত্র
- চৌকো করে কাটা কয়েকটি কাপড়ের টুকরো
কী ভাবে বানাবেন?
- একটি মাঝারি মাপের পাত্রের মধ্যে পাতিলেবুর রস, চিনি এবং জল দিয়ে ফুটতে দিন। মিশ্রণটি ফুটতে শুরু করলে গ্যাসের আঁচ কমিয়ে ততক্ষণ অবধি ফোটান, যতক্ষণ না মিশ্রণটি সোনালি এবং মসৃণ হয়ে আসে। এর পর আঁচ থেকে নামিয়ে একটি স্টেনলেস স্টিলের পাত্রে রেখে ঠান্ডা হতে দিন। দেখবেন, মিশ্রণটি ঘন হয়ে আসবে কিছুটা।
- যতক্ষণ ওই চিনির মিশ্রণটি ঠান্ডা হচ্ছে, ততক্ষণে পা ভাল করে পরিষ্কার করে ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে নিন।এরপর যে অংশে ওয়াক্স লাগাবেন, সেই অংশে ভাল করে বেবি পাউডার লাগিয়ে নিন।
- এ বার হাতে কিছুটা সুগার ওয়াক্স নিয়ে পায়ে লাগিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, লোম যে ডিরেকশনে বড় হয়েছে সেই দিক করে লাগাতে হবে। উল্টো দিকে লাগাবেন না।
- এ বার একটা ফ্লানেলের কাপড়ের স্ট্রিপ নিয়ে যে অংশে ওয়াক্স লাগিয়েছন তার উপর রেখে একটু অপেক্ষা করুন। কিছুক্ষণ পর লাগিয়ে রাখা স্ট্রিপটির একটি কোনা ধরে হেয়ার গ্রোথের উল্টো দিক করে কাপড়টি টেনে তুলে নিন। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, ওয়াক্সিংয়ের প্রক্রিয়াটি যন্ত্রণাদায়ক। তাই যদি একেবারে সব লোম উঠে না আসে, তা হলে একই সময় বার বার সেই জায়গায় ওয়াক্স ব্যবহার না করে পরের দিন একই ভাবে ওয়াক্স করে নিন।
- লোম তোলা হয়ে গেলে জলে ধুয়ে নিন ভাল করে। এর পর যে কোনও আফটার ওয়াক্স তেল লাগিয়ে নিন।