লকডাউন থেকে আনলক হওয়ার পরেও এখন বাইরে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে মানুষ বেশ সতর্ক। তার চেয়ে নিজের রান্নাঘরে নিজের পছন্দের খাবার বানিয়ে নেওয়াটা অনেকেই ইদানীং অভ্যাসে দাঁড় করিয়ে ফেলছেন। ফলে এত দিনকার নিত্য প্রয়োজনের রান্নাঘর এখন বেশির ভাগের কাছেই একান্ত আপন জায়গাও বটে। আর তাই বাড়তি নজর পড়ছে সে জায়গাটাকে যথাযথ ভাবে সাফসুতরো করা, সাজিয়েগুছিয়ে রাখার দিকে। সে দিকে তাকিয়ে এ বছর কিচেন চিমনিকে আরও উন্নত করা এবং তাতে আরও আধনিক প্রযুক্তি যোগ করায় জোর দিচ্ছেন প্রস্তুতকারকেরা।
আগে শুধু রান্নার তেল আর ধোঁয়া শুষে নিয়ে রান্নাঘরের পরিবেশকে আমাদের কাছে স্বাস্থ্যকর করে তুলত কিচেন চিমনি। এখন তা তো করছেই, সঙ্গে ঘরের ভিতরকার বাতাসকেও শোধন করছে। ফলে আগের মতো চোখ জ্বালা করার সমস্যা বা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে না রান্না করার সময়ে। রান্নাঘরের দেওয়াল বা ছাদের সুরক্ষাও দেখে নিতে হবে সব ক্ষেত্রে। এখনকার একটু ভাল মানের চিমনি ব্যবহারের পরে দেওয়ালে বা ছাদে তেলচিটে দাগ ধরছে না।
আমাদের রান্নাঘরে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এবং দামি জিনিসগুলোর মধ্যে একটা এই কিচেন চিমনি। তাই কেনার সময়ে দেখে নিতে হবে অনেক কিছুই।
আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যে ওয়ান প্লাস, সাধ মেটাবেন নাকি?
কী কী বিষয় খেয়াল রাখবেন?
১। আপনার রান্না ঘরের আয়তন কত, সেটা মাথায় রেখে বাছাই করুন। যে চিমনিই লাগান না কেন, দেখে নিন তা আপনার রান্নাঘরকে ধোঁয়া ও তেল্মুক্ত করছে কি না। পাশাপাশি, জেনে নিন আধুনিক চিমনিটি আপনার ঘরের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থাকে কতটা সাহায্য করছে।
২। চিমনির ক্ষেত্রে মূল বিষয় হল তার ফিল্টার। তিন ধরনের ফিল্টার যুক্ত চিমনি পাওয়া যায়। ক্যাসেট ফিল্টার, বাফেল ফিল্টার এবং কার্বন ফিল্টার। ভারতীয় রান্নায় তেল-মশলার ব্যবহার দেখে বাফেল ফিল্টারই কিনতে বলেন বিশেষজ্ঞেরা। কারণ, এটির তেল-মশলা শুষে নেওয়ার ক্ষমতা বেশি। তা ছাড়া, খুব সহজে আপনি নিজেই পরিষ্কার করতে পারবেন চিমনি।
৩। কী ধরনের চিমনি বাছবেন, তা ঠিক করতে হবে আপনাকেই । চার ধরনের চিমনি আছে- কর্নার চিমনি; ওয়াল মাউন্টেড অর্থাৎ দেওয়ালে লাগানো চিমনি; আইসল্যান্ড চিমনি,যা মুলতঃ ছাদ থেকে ঝুলিয়ে লাগানো হয় এবং রান্নার জায়গা দেওয়াল থেকে দূরে হলে বেশি উপযোগী; এবং বিল্ট ইন চিমনি। শেষের দু’টি ধরনের কার্যক্ষমতা অনেক বেশি। এরা বাতাসের ছোট্ট ধূলিকণাকেও ফিল্টার করে দিতে পারে।
বর্তমানে রান্নাঘরের একটি প্রয়োজনীয় জিনিস হল চিমনি।
৪। একটি চিমনির আকার নির্ভর করে আপনার রান্নার ওভেনটির ওপর। তাই ওভেনের মাপ অনুযায়ী চিমনি বাছতে হবে।
৫। অটো ক্লিন চিমনি নেওয়া ভাল। কারণ এর প্রযুক্তি খুব সহজে বাতাসের তেল, মশলা আর ধূলিকণাকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে শোধন করে। এটা পরিষ্কার করাও খুব সহজ। আপনি নিজেই করতে পারবেন।
৬। ঘরের মাপ অনুযায়ী চিমনির তেল বা ধুলো টানার ক্ষমতা (সাকশন পাওয়ার) দেখে নেবেন। রান্নাঘর একটু বড় হলে বা লিভিং-ডাইনিং-কিচেন একত্রে হলে বেশি সাকশন পাওয়ারের দিকে ঝুঁকবেন। একটি সাধারণ ঘরের ক্ষেত্রে ১২০০ সাক্সন নিলেই চলে। মনে রাখবেন, এই সাকশন পাওয়ারই হল একটি চিমনির ঘরকে বা ঘরের পরিবেশকে সুস্থ রাখার ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু।
আরও পড়ুন: করোনা-কালে কাপড় কাচুন গরম জলে, কিনবেন নাকি ফুল অটোম্যাটিক ওয়াশিং মেশিন?
৭। আফটার সেলস সার্ভিস আর ওয়ারেন্টি দেখে নিতে ভুলবেন না।
৮। যাঁরা একটু শৌখিন, তাঁরা টাচ স্ক্রিন, মোবাইল বা রিমোট কন্ট্রোল চিমনি নিতে পারেন।
৯। চিমনি কেনার আগে কত বাজেট, সেটা নির্দিষ্ট করে রাখবেন। একটু ভাল চিমনি নিতে চাইলে বাজেট ১৫ হাজার থেকে শুরু করা জরুরি।
আসুন, এ বার কয়েকটি ব্র্যান্ড দেখে নিই- যেগুলি আপনার রান্নাঘরের পরিবেশকে স্বস্তি দেবে। বেশি চাহিদার ব্র্যান্ডগুলি হল ফেবার, হিন্দ ওয়ার, কুচিনা, এলিকা ও ইনালসা। এর সবক’টিই অটোক্লিন। নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে টাচ প্যানেল। মোটর ওয়ারেন্টি ৫ বছরের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy