গত বছর শোনা গিয়েছিল। এ বার এক্কেবারে বাস্তব। আমরা যারা একটু বড় স্ক্রিনের মোবাইল চাই, অথচ মনে হয় পকেটে রাখা গেলে বেশ হত, তাঁদেরই এ বার ইচ্ছাপূরণের পালা।
মোবাইল হাতে ঘুরতে গিয়ে নাজেহাল অনেকেই এত দিন ভাবতেন মোবাইলটা ভাঁজ করে পকেটে রাখা যাবে, এমন একটা মডেল হলে বেশ হয়! কারণ এখনকার বড় বড় স্ক্রিনের মোবাইল হয় হাতে রাখতে হয়, নয়তো গলায় ঝোলে। আর দুটোর একটাও না চাইলে রাখতে হয় ব্রিফকেসে বা অফিস ব্যাগে।
ব্যাগে রাখলেও তো সমস্যা। গুরুত্বপূর্ণ ফোন এলে যেমন জানা যায় না, তেমনই ঠিক সময়ে ফোন বার করে এনে কলটা ধরতেও সমস্যা। এ বার সেই যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে দিল মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। বাজারে কয়েক দিনের মধ্যেই হাতে হাতে, বা পকেটে পকেটে ঘুরবে দুই ভাঁজ, তিন ভাঁজ অথবা মানিব্যাগের মত ভাঁজ করতে পারা ফোল্ডিং মোবাইল!
আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যে ওয়ান প্লাস, সাধ মেটাবেন নাকি?
যাঁরা মোবাইলের বড় স্ক্রিনে ভিডিও দেখতে বা গেম খেলতে ভালবাসেন, এই ফোল্ডিং মোবাইল তাঁদের জন্য আদর্শ। তা ছাড়াও ভাঁজ করা মোবাইলে আপনি একসঙ্গে অনেকগুলি উইন্ডোতে কাজ করতে পারবেন- যেমন হোয়াটস অ্যাপ করতে করতেই ইউটিউব, সঙ্গে ফেসবুক। আবার ট্রেনের টিকিটটা কনফার্ম হল কি না সেটাও দেখে নিতে পারবেন একসঙ্গে, একই স্ক্রিনে। এর কারণ, ফোল্ডিং মোবাইলের ডিসপ্লে স্ক্রিন সাধারণ মোবাইলের বড় স্ক্রিনের তুলনায় অনেকটাই বড়। ফলে একটাই স্ক্রিনে একত্রে অনেকগুলি কাজ করার সুবিধা পেয়ে যাবেন।
ফোল্ডিং মোবাইল আসছে ৫জি’র সাপোর্ট-সহ। সঙ্গে থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধাই। ভাঁজ করতে পারা ফোনগুলি অনেকটাই পাতলা ও হাল্কা, এখনকার প্রচলিত ফোনের চেয়ে। এই ধরনের ফোনে থাকছে ৪৩০০ এমএএইচ ব্যাটারি। ফলে ফোন সচল থাকবে বেশিক্ষণ।
ফোল্ডিং মোবাইলের দাম এই মুহূর্তে ১ লক্ষ টাকার উপরে। তবে আশা করা যায়, দাম খানিকটা কমে যাবে। এখন বেশ কিছু হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক সংস্থা আগাম বুকিং নিচ্ছে এই মোবাইলের। যেহেতু এখন একটি বিশেষ দেশের ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জাম ভারতের মাটিতে বিক্রি হচ্ছে না, তাই অনলাইনে কেনার ক্ষেত্রে একটু খেয়াল রাখতে হবে। গুগলে দেখে নিতে হবে রেটিং। তবে এটি যেহেতু আমাদের কাছে সেই অর্থে একেবারেই প্রথম, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ফোল্ডিং মোবাইল, তাই আফটার সেলস ও সার্ভিস এর বিষয়টাকে অবহেলা করবেন না। অবশ্যই সার্ভিস সেন্টারের খোঁজটাও নিয়ে নেবেন ঠিক মতো।
আরও পড়ুন: করোনা-কালে কাপড় কাচুন গরম জলে, কিনবেন নাকি ফুল অটোম্যাটিক ওয়াশিং মেশিন?
এ বার কয়েকটি ব্র্যান্ড জানিয়ে রাখি- ১। স্যামসুং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড বা ফ্লিপ, ২। মাইক্রোসফট সারফেস ডুও, ৩। মোটো রেজার ২০১৯, ৪। এলজি-জি এইট এক্স থিন কিউ, ৫। জিওমি ডুয়েল ফ্লেক্স অথবা মিক্স ফ্লেক্স, ৬। টিসিএল। এ ছাড়াও আরও কিছু প্রস্তুকারক সংস্থা ইতিমধ্যেই বাজারে এ ধরনের মোবাইল আনার কথা ঘোষণা করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy