প্রতীকী ছবি।
পুজো এসেই গেল। উৎসব-সাজের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। সাঁলোয় ভিড় বেড়েছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা এখনও কাটিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না পুরোপুরি। ফলে ঘরোয়া উপায়ে রূপচর্চায় ভরসাও রাখতে হচ্ছে। আপনিও কি সে দিকেই এগনোর কথা ভাবছেন? তা হলে জেনে নিন বাড়িতে ত্বক-পরিচর্যার ক্ষেত্রে কী কী রাখা জরুরি এবং কেন।
১) নিম: নিমের মধ্যে একই সঙ্গে আছে ব্যাক্টিরিয়া, ছত্রাক ও ভাইরাস নাশ করার শক্তি। নিম পাতা ত্বকের যে কোনও প্রদাহ, অস্বস্তি, সংক্রমণ ও জ্বালা-ভাব দূর করে। কিন্তু ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট করে না। সংক্রমণ দূরে রাখার জন্য রোজ নিম পাতা দেওয়া জলে স্নানও করতে পারেন।
২) জাফরান: অনেক ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় জাফরান ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। এটি প্রদাহ কমায়, ফলে ত্বক আরাম পায়। জাফরানের ছত্রাক-নাশক ধর্ম মুখের ব্রণও সারায়। তা ছাড়াও ত্বকের জেল্লা বাড়ায় বলে জাফরান বেশ কিছু প্রসাধনী দ্রব্যে ব্যবহার করা হয়।
৩) চন্দনকাঠ: চন্দন ত্বকের পচনশীলতা ও প্রদাহ আটকায়। ত্বকের ঝুলে যাওয়া ও বলিরেখা আটকে ত্বকের বার্ধক্যও ঠেকায় চন্দন কাঠ। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন চন্দন কাঠের গুঁড়ো করে জল দিয়ে মেখে সেই পেস্ট মুখে লাগালে পেতে পারেন ঝকঝকে, উজ্জ্বল ও নিখুঁত ত্বক।
৪) তুলসি: জ্বরজারি থেকে সামান্য গলা ব্যথা— ছোট থেকেই সকলে শুনে আসছে তুলসির অনেক গুণ। কিন্তু ত্বকও ভাল রাখে তুলসি, এ কথা জানেন কি? ব্যাক্টিরিয়া, ভাইরাস ও প্রদাহ-জনিত সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ব্ল্যাকহেড, ব্রণ ও সংক্রমণের সমস্যারও সমাধান মিলবে তুলসি পাতায়।
৫) হলুদ: বাঙালির অধিকাংশ রান্নাই হলুদ ছাড়া হয় না। এই হলুদ খেয়াল রাখতে পারে আপনার ত্বকেরও। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও প্রদাহ উপশমকারী উপাদান থাকায় হলুদ ত্বকের বার্ধক্য বা ব্রণর মতো একাধিক সমস্যা দূর করতে পারে সহজেই। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকে আসতে পারে জেল্লা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy