পুজো ফুরোলেই পকেট সাফা! এ বার আগে ভাগেই সাবধানী হোন
দেদার খরচ চলে পুজোর আগে থেকেই। ষষ্ঠী থেকে দশমী তো কথাই নেই। ফলে উৎসবের জাঁক শেষ হতেই পকেটে টান। প্রায় প্রতিবার এমনই। এ বার নয় একটু সাবধান হলেন! কিন্তু কী করে? জেনে নিন।
আনন্দ উৎসব
শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:১৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১১
পুজোর অন্তত তিন মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় উৎসবের তোড়জোড়। এক মাস আগে পুরো দমে কেনাকাটা দিয়ে খরচ-খরচা শুরু। পুজোর ৫ দিন সবটাই যেন লাগাম ছাড়া! শেষে বিসর্জন হল কী, ভাঁড়ে মা ভবানী! দশা বেহাল। প্রায় প্রত্যেক বছর এক গল্প। এমন অবস্থা কাটাতে কী করবেন? রইল কিছু পরামর্শ।
০২১১
আগাম হিসেব থাকুক আয় ও ব্যয়ের প্রথমেই নিজের আয়-ব্যয়ের ভাল করে হিসেব করে নিন। আগের বছরের পুজোর হিসেব মনে করে আন্দাজ করে নিন মোটামুটি কত খরচ হতে পারে এবারে। সেই বুঝে এই পুজোর জন্য কতটা জমানো দরকার, ঠিক করে নিন। একটা মোটা অঙ্কের টাকা জমানোর জন্য পুজোর আগে কোন কোন বাজে খরচ কমানো যেতে পারে, তার একটা তালিকা করে নিন এবং সে পথ থেকে শত হস্ত দূরে থাকুন।
০৩১১
সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে মাসের শুরুতেই সাবধান এ বারের পুজো অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে। ফলে তার মধ্যে চাকুরিজীবীদের দু’মাসে দু’টি মাহিনা আছে। অনেকে আবার বোনাসও পান। এই টাকা পেয়ে আগেই একটা বড় অংশকে সরিয়ে রাখুন। পুজোর জন্য বাড়তি খরচের কথা ভেবে। ব্যবসায়ী বা অন্য পেশাজীবীদের ক্ষেত্রেও খরচ কমানোর জন্য মাসের শুরুর দিকেই পরিকল্পনা এমনই হলে ভাল।
০৪১১
পুজোর কেনাকাটায় সতর্ক হন পুজোর কেনাকাটা করার সময় কয়েকটি বিষয় খেয়াল করুন। অনেক সময় অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে একই জিনিস বিভিন্ন সাইটে বিভিন্ন দামে ও ছাড়ে পাওয়া যায়। এ ছাড়া পুজোর আগে নানা সময় নানা উপলক্ষে অনেক রকম সেল চলতেই থাকে, দোকানে এবং অনলাইন কেনাকাটার সাইটগুলিতে। জামা কাপড় ইত্যাদি বা প্রসাধনীর বাবদ একটা বাজেট ঠিক করুন। তার থেকে বেশি খরচ হাজার প্রলোভনে পড়েও করবেন না।
০৫১১
পরিবারের জন্য উপহার দিতে ভাবনা চিন্তা করুন পুজো উপলক্ষে পরিবারকে নানা রকম উপহার দেওয়ার ধুম লেগে যায়। শেষ মুহূর্তে এ সব নিয়ে ভাবতে গিয়ে বেশিরভাগ সময়ই বাজে খরচ হয়ে যায়। তাই টাকা বাঁচাতে চাইলে উপহার নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করুন আজ থেকেই। উপহার হিসেবে জামাকাপড় দেওয়ার খরচ একটু বেশি। ফলে যাদের জামাকাপড় না দিলেও চলে, তাঁদের জন্য অন্য রকমের পুজোর উপহার কেনার কথা ভাবুন। তাঁদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে। দেখবেন, তাঁরা খুশি হবেন। আপনার খরচও কমবে।
০৬১১
ঘর সাজান হাতে বানানো জিনিস দিয়ে নতুন জিনিস নাই’বা কিনলেন। বরং ঘরে রয়েছে এমন সাজানোর জিনিস নতুন ভাবে ব্যবহার করুন। কিংবা ছুটির দিনে বসে বসে নতুন করে পুরনো জিনিসপত্র রঙ করে বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে শুধু জিনিসটি রাখার জায়গাটি বদলে দিন। তাতেই দেখবেন, একটু অন্য রকম লাগবে।
০৭১১
ষষ্ঠী থেকে দশমী, খরচের আগাম পরিকল্পনা থাকুক পুজোর দিনগুলির সারা দিনে বাইরে ঘোরা, খাওয়া দাওয়া মিলিয়ে একটা বাজেট আগেই ঠিক করে নিন। সেই বাজেট ধরেই খরচ করার চেষ্টা করুন। তাতে নিজের পুজোর খাতে জমানো টাকার বাইরে অন্য টাকায় হাত দিতে হবে না।
০৮১১
প্রতি দিনই বাইরে খাওয়া থেকে দূরে থাকুন রেস্তরাঁয় যাওয়ার রাশ টানলেও দেখবেন, খরচ খানিক কমবে। এমনিতেই রোজ রোজ বাইরে খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। তার জায়গায় বাড়িতে ভালমন্দ বানিয়ে নিন। সবাই মিলে জমিয়ে খান। আনন্দ তাতে কমবে না।
০৯১১
কেনাকাটায় কুপন ব্যবহার করুন নানা রকম অনলাইন কেনাকাটার সাইটে অনেক রকম কুপন ব্যবহার করার সুযোগ থাকে। সব সময় চেষ্টা করুন, সেই কুপনের মাধ্যমে কেনাকাটা করতে। এতে কম খরচে নিশ্চিন্তে কেনাকাটা করতে পারবেন।
১০১১
কথায় কথায় ক্রেডিট কার্ডের চক্করে পড়বেন না এটা একটা প্রলোভন। ‘হাতে টাকা নেই তো কী, ক্রেডিট কার্ডে কিনে ফেলি,’ এমন মানসিকতা থেকে দূরে থাকুন। অন্তত এই সময়ে। মনে রাখবেন, পরে কিন্তু টাকাটা আপনাকেই দিতে হবে।
১১১১
অনলাইনে জিনিস দেখলেন, আর কিনে ফেললেন, এমন যেন না হয় অনলাইনে জিনিসপত্রের লোভনীয় হাতছানি অনেকেই এড়াতে পারেন না। এই ভুবন জোড়া ফাঁদে পা দেবেন না। নিজের কেনাকাটার তালিকা, চাহিদা ইত্যাদি বুঝে জিনিসপত্র, জামাকাপড় ইত্যাদি কিনুন। এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।