Advertisement
  • Associate Partner

Durga Puja Diet

পুজোর আগে খাবারে সামান্য রদবদলই করে তুলবে শারদ সুন্দরী- রইল টিপস

শারদ-সুন্দরী হয়ে উঠতে শুধু শরীরচর্চাই যথেষ্ট নয়। সঙ্গে চাই সুষম এবং পুষ্টিকর খাবারও। শরীর থাকবে ফিট, সঙ্গে দেখাবে ঝলমলে– পুজোর আগে কী ভাবে পাবেন এই যুগলবন্দি?

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৪
Share: Save:

পুজোয় নজরকাড়া হওয়ার সাধে কে না চায় ছিপছিপে হয়ে উঠতে? এ সময়টায় তাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব আদায় করে ছাড়ে শরীরচর্চা। কিন্তু শারদ-সুন্দরী হয়ে উঠতে শুধু শরীরচর্চাই যথেষ্ট নয়। সঙ্গে চাই সুষম এবং পুষ্টিকর খাবারও। শরীর থাকবে ফিট, সঙ্গে দেখাবে ঝলমলে– পুজোর আগে কী ভাবে পাবেন এই যুগলবন্দি? সাধ্যের মধ্যে ঘরোয়া খাবার খেয়ে কী ভাবে হয়ে উঠবেন আকর্ষণীয়? কী সেই গোপন ডায়েট-রহস্য, যা এই পুজোয় আপনাকে করে তুলবে সবার থেকে আলাদা? চলুন জেনে নেওয়া যাক তার সুলুকসন্ধান।

পুজোর আগের সকালগুলো মন এমনিতেই আনন্দ-উদ্দীপনায় ঝলমলে হয়ে থাকে। এই সময়ে সঠিক ডায়েট আপনার শরীর এবং মন দুই-ই ভাল রাখতে সাহায্য করবে। মেনে চলতে পারেন এই টিপসগুলো।

১। ব্রেকফাস্টে থাক প্রচুর ফল আর শস্য। সঙ্গে দুধ-চিনি ছাড়া চা অথবা ব্ল্যাক কফি।

২। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ছোলা, মটর, সেদ্ধ তরকার ডাল– এই ধরনের পুষ্টিকর খাবার রাখুন রোজকার খাবারে। সঙ্গে ডিম রাখতেই পারেন। শরীর ঠিক রাখতে, হজমের সমস্যা এড়াতে বারে বারে অল্প খাবার খেতে হবে।

৩। সকালে উঠে এক গ্লাস উষ্ণ জলে একটা গোটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলে দ্রুত ওজন ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া গ্রিন টি-ও একই ভাবে উপকারী।

৪। এরপর এক বাটি ওটস বা কর্নফ্লেক্স। নয়তো ২টো ডিম সেদ্ধ, সঙ্গে স্যান্ডউইচ খেতে পারেন। ঘণ্টা দুয়েক পরে খান শশার স্যালাড অথবা ভেজিটেবল স্যুপ।

৫। দুপুরে বাটারমিল্ক অথবা স্যালাড ও ২টো রুটি বা এক কাপ ভাত-সবজি কিংবা যে কোনও প্রোটিন ১০০ গ্রাম আর এক বাটি ডাল খান। বিকেলে থাক ১ কাপ গ্রিন টি-র সঙ্গে ডায়েট চিড়ে বা বিস্কুট।

৬। রাতে ভেজ স্যালাড বা স্যুপ। সঙ্গে চিকেন স্টু, হাতে বানানো রুটি আর এক বাটি সবজি।

এ বিষয়ে আনন্দ উৎসব-কে পুষ্টিবিদ শ্রেয়সী ভৌমিক বলেন, “লাইফস্টাইল বদল এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে ওজন পুজোর আগে ঝরাচ্ছেন, তা যেন সারা বছর ধরে রাখা যায়– এমন প্রচেষ্টার নামই লাইফস্টাইল চেঞ্জ। উৎসবের মরসুমে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বরং সীমিত এবং পরিমাণ মতো খাওয়াই সঠিক ডায়েট। কোনও খাবার খাওয়ার সময়ে অপরাধবোধে ভোগা উচিত নয় এতে হিতে বিপরীত হয়। আরও একটি বিষয় হল সারাক্ষণ হাঁটাচলা করা বা নির্দিষ্ট কোনও কাজের মধ্যে থাকা। এতে খাবার হজম হয় দ্রুত। উৎসবের মরসুমে সবথেকে বেশি দরকার কিন্তু বিশ্রাম। শরীর ঠিক রাখতে প্রচুর জল এবং লিকুইড খেতে হবে।”

তা হলে আর দেরি কীসের? নিয়ম মেনে একটু গুছিয়ে নিন জীবন। আপনিও হয়ে উঠুন ফিট অ্যান্ড ফাইন।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE