চার পাশে যা কিছু নির্মাণ, শিল্প বা স্থাপত্য, তার পিছনে রয়েছে শিল্পী বা শ্রমিকদের অবদান। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে ওঠে সব কিছু। পুজোর দিনগুলোয় উৎসবমুখর কলকাতা জুড়ে যে মণ্ডপ, প্রতিমা বা আলোকসজ্জা, তার সবটাই এ ভাবে রূপ পায় একটু একটু করে। হরেক রকম থিমের ভাবনা যাঁদের বিরামহীন পরিশ্রমে বাস্তব হয়ে ওঠে, সেই শ্রমিকেরা কিন্তু অনেক সময়ে নিজেদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক বা সম্মানটুকু পান না। এই দিকটাকেই এ বার নিজেদের ভাবনায় তুলে ধরছে বিধাননগর নোনাপুকুরের প্রফুল্লকানন বালকবৃন্দ পূর্ব দুর্গোৎসব কমিটি।
১৯৯২ সালে পুজো শুরু। ৩১ বছরে এসে উদ্যোক্তারা দুর্গা-আরাধনায় বেছে নিয়েছেন থিম ‘নিংড়ানো’। শ্রমিকদের সম্মান ও তাঁদের দিনরাত এক করা পরিশ্রমের মর্যাদা- এই বিষয়টাকেই মাথায় রেখে এমন ভাবনা।
মণ্ডপে বাঁশের বিভিন্ন কারুকাজে শ্রমিকদের দক্ষতার ছবি ফুটিয়ে তোলা হবে। প্রতিমাও তৈরি হচ্ছে সেই আদলেই। তবে সাবেকিয়ানার ছোঁয়াও থাকবে থিমে। পুজো কমিটির সম্পাদক সুভাষ বসাক বলেন, “আমাদের চারপাশে যা কিছু নির্মাণ দেখি, তার মূলে রয়েছেন শ্রমিকেরা। অনেক সময়ে তাঁরা উপযুক্ত পারিশ্রমিক, সম্মান পাওয়া ও অন্যান্য নানা ক্ষেত্রে অবহেলিত হন। সেই বিষয়টিকেই এ বারের পুজোয় তুলে ধরছি আমরা। আমাদের পুজোর সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক শ্রমিক যাতে নিজেদের সঠিক পারিশ্রমিক পান, সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।” চতুর্থ দিন জনসাধারণের জন্য মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে। পুজোর উদ্বোধন করবেন বিধায়ক অদিতি দাসমুন্সী। উপস্থিত থাকবেন বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীও। ওই দিন আরও নানা সামাজিক কর্মসূচিও থাকছে।
যাবেন কী করে- কেষ্টপুর বাস স্ট্যান্ডে নেমে সাবওয়ে ধরে বিধাননগরের দিকে যেতে হবে। এক মিনিট হাঁটলে নোনাপুকুর অঞ্চল। সেখানেই এই পুজো।
থিম- নিংড়ানো
থিম শিল্পী- দেবতোষ কর
প্রতিমা শিল্পী- দেবতোষ কর
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy