পুজোতে একটা বার অন্তত মায়ের মুখ না দেখলে চলে না অনেক প্রবীণ নাগরিকদেরই। মা, অর্থাৎ দু্র্গা প্রতিমা। কিন্তু এ বছরের পুজোটা একেবারে অন্য রকম। করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে পুজোর সময়, মন আরও বিপর্যস্ত হবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে খুলে যাবে সব রকম সংক্রমণের দরজা। এই পরিস্থিতিতে বাড়ির বয়স্ক সদস্যরা কী করবেন?
বয়স্কদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। তাই তাঁদের আরও কঠোর ভাবে পুজোর সময়েও বন্দিদশা মেনে চলতে হবে। এ দিকে দিনের পর দিন গৃহবন্দি থাকতে থাকতে বয়স্কদের মানসিক শক্তি অটুট রাখা মুশকিল ।
অনেক বয়স্ক মানুষই আজকাল বাড়িতে বা ফ্ল্যাটে একলা অথবা দু’জনে থাকেন। দেখাশোনা করার জন্য হয় সব সময়ের জন্য, নয়তো সীমিত সময়ের জন্য সেবিকা বা পরিচারিকা থাকেন। এই সময় তাঁরাও বাড়ি চলে গিয়েছেন অথবা আসতে পারছেন না। ফলে বাড়ির সব কাজই নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী করতে হচ্ছে। এদিকে পুজোও আসছে। কিন্তু প্রতিমা দেখতে মণ্ডপে একেবারেই নয়, টিভিই হোক ভরসা, পরামর্শ জনস্বাস্থ্য চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর।
আরও পড়ুন : পুজোর সময় রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে এই সব মানতেই হবে
বয়স বেশি কিন্তু একেবারে তরতাজা যুবকের মতো রোগ প্রতিরোধ শক্তি। কোনও রকম কো-মর্বিডিটি নেই, সে ক্ষেত্রে কী করতে হবে?
পরিবারের বয়স্করা যাতে মানসিক অবসাদে না ভোগেন সেই দিকে খেয়াল রাখুন।ছবি :শাটার স্টক
ডায়াবিটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে বাড়ি থেকে একেবারেই বেরনো উচিত নয়, এ বছরের পুজোটা যে অন্য রকম, সেটা বোঝাতে হবে প্রবীণদের। যাঁরা একা থাকেন, শরীর সুস্থ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে বাইরে থাকা প্রিয়জন কিংবা প্রতিবেশীদেরই দায়িত্ব নিতে হবে বোঝানোর, বললেন মেডিসিনের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস। পুজোর সময়টুকুও বেরতে না পারলে অনেকেরই মানসিক একটা চাপ তৈরি হবে, সে ক্ষেত্রে সহানুভূতির সঙ্গে বোঝানোর পরামর্শ দিলেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ প্রশান্তকুমার রায়। কারণ, মানসিক চাপের সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ শক্তির একটা সংযোগ রয়েছে। তাই কোনও ভাবেই বয়স্ক মানুষটি যেন মনে না করেন, তিনি দুর্বল। শুধু এই বছরের জন্য তাঁকে বাড়িতে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন : অন্য রকম শারদীয়ায় এই সব মানলেই মন ভাল, নিরাপদে কাটবে পুজো
কী করা যেতে পারে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy