Advertisement

Associate Partner

Style Partner

Associate Partner

Weddings Partner

Food Partner

Lifestyle

পুজোর আগে এই ডায়েট মেনে চলুন! তা হলেই পাবেন নজরকাড়া ফিটনেস!

গত কয়েক বছরে কিটো ডায়েটের জনপ্রিয়তা বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। চটজলদি ওজন কমাতে এই ডায়েটের কোনও তুলনা নেই।

কিটোজেনিক ডায়েট

কিটোজেনিক ডায়েট

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:১০
Share: Save:

অনলাইনে হালফ্যাশনের পোশাক দেখেই হাত নিশপিশ! বাধা দিচ্ছে আপনারবাড়তি ওজন।কেবল পেটই নয়, মেদ জমেছে উরু, কোমরেও। তবে আশার কথা, পুজো আসতে এখনও মাসখানেক বাকি। এই ডায়েট মেনে চললেই কিন্তু পুজোর আগেই কমিয়ে ফেলতে পারেন আপনার ওজন।

গত কয়েক বছরে কিটো ডায়েটের জনপ্রিয়তা বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। চটজলদি ওজন কমাতে এই ডায়েটের কোনও তুলনা নেই। তবে এই ডায়েট শুরু করার আগে তার সম্পর্কে অবশ্যই ভাল করে করে জেনে নিন নইলে পড়তে পারেন বিপদে। দ্রুত মেদ ঝরাতে কার্যকরী হলেও এই ডায়েটে রয়েছে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

আসুন জেনে নিই এই কিটো ডায়েট আসলে কী?

এই বিশেষ ডায়েট প্ল্যানে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে। পরিবর্তে খেতে হবে পরিমাণ মতো প্রোটিন এবং বেশি করে ফ্যাট জাতীয় খাবার।মস্তিষ্কের দৈনন্দিন কাজকর্ম চালাতে যে যে উপাদানের প্রয়োজন পড়বে, শরীর তা সংগ্রহ করবে প্রোটিন এবং ফ্যাটি খাবার থেকেই। মূলত ফ্যাট বার্ন করেই শরীরের এনার্জির ঘাটতি মিটবে। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিলে শরীর যে বিশেষ মেটাবলিক পর্যায়ে চলে যায় তাকেই চিকিত্সার ভাষায় কিটোসিস বলে। আর সেই থেকেই এই ডায়েটের নাম হয় কিটো ডায়েট।শরীর যখন কিটোসিস স্টেটে থাকে, তখন প্রচুর মাত্রায় ফ্যাট বার্ন হয়, যে কারণে ওজন কমতে একেবারেই সময় লাগে না। কিটোজেনিক ডায়েটের ক্ষেত্রে ৫% কার্বোহাইড্রেট, ২৫% প্রোটিন এবং ৭০% ফ্যাট জাতীয় খাবার রাখতে হবে আপনার ডায়েটে।তবে দীর্ঘমেয়াদে এই ডায়েট মেনে চললে শরীরে হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি।

কী কী খাবারকে কিটো ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়?
মুরগির মাংস, পাঁঠার মাংস, মাছ ও ডিম সবই খেতে পারেন এই ডায়েটে। মাখন, অলিভ অয়েল কিংবা নারকেল তেলেই করতে হবে রান্না। বাদাম এই ডায়েটে আপনি খেতেই পারেন। শসা, ব্রকোলি এবং ফুলকপির মতো সবুজ শাকসব্জি এই ডায়েটে বেশ উপকারী। চা বাদে বুলেট কফি কিংবা ব্ল্যাক কফিতেইমেটাতে হবে আপনার তৃষ্ণা।

আরও পড়ুন: মেদ ঝরাতে ভরসা এই চার কসরত!​

জেনে নিন কোন খাবারগুলি এড়িয়ে চলবেন কিটো ডায়েটে!

আইসক্রিম, চকোলেট, সফট ড্রিঙ্ক, যে কোনও ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার এই ডায়েটে একেবারেই মানা। ভাত, রুটি, নুডলস, কর্নফ্লেক্স ইত্যাদি থেকে দূরে থাকতে হবে এই ডায়েটে। ডালে প্রোটিনের পাশাপাশি ভাল পরিমাণে কার্ব থাকে। তাই সব ধরনের ডালও নিষেধ এই ডায়েটে।মাটির নীচে হয় এমন ধরনের সব্জি, যেমন আলু, মুলো, কচু, গাজর খাওয়া যাবে না কিটোতে।

এই ডায়েট মেনে চললে কী কী উপকার পেতে পারেন?

  • শরীরের ওজন কমাতে এই ডায়েট খুব দ্রুত কাজ করে।

  • ডায়াবিটিস রোগীদের ব্লাড সুগার কমাতে কিটো ডায়েট বিশেষ উপকারী।

  • এই ডায়েট পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের প্রকোপ কমাতে কার্যকরী।

  • কিটোজেনিক ডায়েট শরীরে ফ্যাট জমতে দেয় না, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে সুস্থ থাকে আপনার হার্ট।

শরীরের ওজন কমাতে এই ডায়েট খুব দ্রুত কাজ করে।

ডায়াবিটিস রোগীদের ব্লাড সুগার কমাতে কিটো ডায়েট বিশেষ উপকারী।

এই ডায়েট পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের প্রকোপ কমাতে কার্যকরী।

কিটোজেনিক ডায়েট শরীরে ফ্যাট জমতে দেয় না, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে সুস্থ থাকে আপনার হার্ট।

আরও পড়ুন: চুল পাতলা হয়ে ঝরে যাওয়া রুখতে পুজোর আগেই সহজ এই উপায় আয়ত্তে আনুন

কিটো ডায়েটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ঠিক ঠিক নিয়ম অনুযায়ী এই ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ না করলে একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষত, মাথা যন্ত্রণা, ক্লান্তি, খিদে বেড়ে যাওয়া, ঘুম কমে যাওয়া, মাথা ঘোরা এবং শরীরিক ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরনো, মাসল ক্র্যাম্প, নানা ধরনের পেটের রোগ এবং কিডনিতে স্টোন হওয়ার মতো রোগও লেজুড় হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় এই কিটো ডায়েট মেনে চললে পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে পড়ে।তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। কখনও যদি কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে আলোচনা করে সঙ্গে সঙ্গে কিটো ডায়েট বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE