Advertisement

Associate Partner

Style Partner

Associate Partner

Weddings Partner

Food Partner

Durga Puja 2020

ঘরবন্দি পুজোয় সাজুন নিজের তৈরি গয়নায়

হাতের কাজের মজা আছে, নিজের সৃষ্টিতে নিজের সাজার আনন্দও।

পরমা দাশগুপ্ত
শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২০ ১৫:১৫
Share: Save:

চারপাশে দেখছেন করোনার আস্ফালন। ভয়ও পাচ্ছেন বেশ। এ দিকে, পুজোও তো এল বলে! এ বছর বেরোনো, ঘোরাঘুরি হোক বা না হোক, শারদীয়ার দিনগুলোয় তা বলে সাজবেন না নাকি?

হ্যাঁ, অনলাইন শপিং আছে। তবু এ বার জীবনটাই তো বইছে অন্য খাতে। ‘নিউ নরম্যাল’ দিনযাপনে বরং পুজোর সাজেও হোক না নতুন কিছু? বানিয়ে ফেলুন না নিজের গয়না নিজের হাতেই!

হাতের কাজের মজা আছে, নিজের সৃষ্টিতে নিজের সাজার আনন্দও। আর তার জন্য চাই খুব সাধারণ কিছু জিনিসপত্র- কিছু মিলে যাবে বাড়িতেই, বাকিগুলোও মোটামুটি নাগালেই, জোগাড় করতে তেমন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

দুল হোক বা হার, কিংবা লকেট- বানিয়ে ফেলা যায় নানা ধরনের কাগজ, কাপড়ের টুকরো, উল, বিডস, পুঁতি, কানের দুলের আঁকড়ি, গলার হারের টাসেল, রঙিন কার, কার্ডবোর্ড, সূচ-সুতো, কাঁচি, স্বচ্ছ আঠা, ফেব্রিক রং-এর মতো কিছু জিনিসপত্র জুটিয়ে নিতে পারলেই। ইন্টারনেটে একটু ঘেঁটে দেখলেই পেয়ে যাবেন সহজসাধ্য গয়না তৈরির হাজারো ভিডিও-প্রশিক্ষণ (ডিআইওয়াই ভিডিও)। না হয়, এখানেই পড়ে নিন এক-আধটা গয়না তৈরির কৌশল।

আরও পড়ুন: দুর্গা রোগা না মোটা সেটা কি কেউ কখনও চোখে দেখেছে?

কাগজের দুল- সাধারণ ছাপার কাগজ ভাঁজ করে বা পাকিয়ে নির্দিষ্ট আকারে মুড়ে নিন। বল, ত্রিভূজ, তারা, ফুল- বানাতে পারেন যেমন খুশি। আঠা দিয়ে ভাঁজগুলো সেঁটে নিলে খানিক শক্তপোক্ত হবে। এ বার রাঙিয়ে নিন পছন্দ মতো ফেব্রিক রঙে। রং শুকোলে তার গায়ে মাখিয়ে নিন স্বচ্ছ আঠা। তার পরে ফের শুকিয়ে নিন। এতে রং ওঠার সমস্যা কমবে। সমস্তটা শুকিয়ে খটখটে হয়ে গেলে মাথার দিকটায় ফুটো করে আঁকড়ি গেঁথে নিন। ব্যস! দুল রেডি!

লকেটওয়ালা হার- কার্ডবোর্ডের উপরে নিজের পছন্দমতো লকেটের ডিজাইন বা ছবি এঁকে ফেব্রিক রং করে নিন। রং ভাল ভাবে শুকিয়ে নিয়ে মাপ মতো কেটে নিন। কেটে নিন সমান মাপের আর এক টুকরো কার্ডবোর্ডও। এ বার দুটো টুকরো ভাল ভাবে আঠা দিয়ে সেঁটে নিন। পিছনের দিকটা ফের যে কোনও গাঢ় রঙে রং করে শুকিয়ে নিন ফের। এ বার দু’পাশে এবং ধারগুলোয় ভাল করে মাখিয়ে দিন স্বচ্ছ আঠা। পুরোটা খটখটে হয়ে শুকিয়ে গেলেই লকেট তৈরি।

এ বার কালো বা লাল কারের মধ্যে কিছুটা ফাঁক রেখে রেখে গেঁথে নিন বিডস আর পুঁতি। তৈরি করে রাখা লকেট সেলাই করে বাঁ রিং-এ লাগিয়ে জুড়ে নিন তাতে। শেষমেশ কারের দুই প্রান্ত জুড়ে নিন টাসেল-এর সাহায্যে। তৈরি হয়ে গেল রংচঙে ডিজাইনার হার!

উলের বালা- লম্বা কার্ডবোর্ডের সমান মাপের দু’তিনটে লম্বা টুকরো একসঙ্গে সেঁটে নিন। এ বার পুরোটা পাকিয়ে বালার আকারে জুড়ে নিন ভাল করে। ফেব্রিকে রং করে শুকিয়ে এবং তাতে স্বচ্ছ আঠা মাখিয়ে ফের শুকিয়ে নিন।

আরও পড়ুন: উৎসবের সেলিব্রেশনে লাগুক রামধনুর ছোঁয়া

এ বার নানা রঙের ছোট্ট ছোট্ট উলের বল বানিয়ে সেলাই করে রাখুন। বালার মাপে মোটা কালো সুতো বা কালো কার কেটে তাতে বলগুলো গেঁথে নিন। এর পরে কার্ড বোর্ডের বালার উপরে উলের বল-সমেত সুতো বা কারটা টানটান করে জুড়ে নিন আঠা দিয়ে। পোক্ত করতে তার উপরে সেলাইও করে নিতে পারেন। হয়ে গেল বাহারি উলের বালা!

সে পুজোয় এ বার ঘরেই কাটুক বা বাইরে, আপনার গয়নার বাক্সে এখন নিজের হাতে তৈরি হরেক রংবাহারি গয়না। সে তৃপ্তির স্বাদই আলাদা! স্টাইলও এক্কেবারে নিজস্ব!

নিজের তৈরি গয়নায় পুজোর সাজ। আপনি কিন্তু নজর কাড়ছেনই!

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE