Advertisement

Associate Partner

Style Partner

Associate Partner

Weddings Partner

Food Partner

Laxmi Puja 2020

কোথাও সমুদ্র থেকে আবির্ভূত, কোথাও স্বয়ম্ভু, এই সব লক্ষ্মীমন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে নানা কিংবদন্তি

বাঙালির শারদোৎসবে দুর্গতিনাশিনীর কন্যা হিসেবে পূজিত হলেও প্রকৃতপক্ষে দুর্গারই একটি অংশ হলেন লক্ষ্মী। তিনি বৈদিক দেবী।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২০ ১৫:১১
Share: Save:
০১ ১৪
বাঙালির শারদোৎসবে দুর্গতিনাশিনীর কন্যা হিসেবে পূজিত হলেও প্রকৃতপক্ষে দুর্গারই একটি অংশ হলেন লক্ষ্মী। তিনি বৈদিক দেবী। পৌরাণিক সাহিত্যে তিনি কোথাও নারায়ণের স্ত্রী। কোথাও আবার তাঁর উৎস লুকিয়ে আছে সমুদ্রমন্থনে। বৈদিক উৎস অনুযায়ী তিনি শ্রী শক্তি।

বাঙালির শারদোৎসবে দুর্গতিনাশিনীর কন্যা হিসেবে পূজিত হলেও প্রকৃতপক্ষে দুর্গারই একটি অংশ হলেন লক্ষ্মী। তিনি বৈদিক দেবী। পৌরাণিক সাহিত্যে তিনি কোথাও নারায়ণের স্ত্রী। কোথাও আবার তাঁর উৎস লুকিয়ে আছে সমুদ্রমন্থনে। বৈদিক উৎস অনুযায়ী তিনি শ্রী শক্তি।

০২ ১৪
মহাশক্তি মহামায়ার শাখাশক্তি দেবী লক্ষ্মী ঐশ্বর্য ও সম্পদের প্রতীক। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন রূপে তিনি পূজিত হন। বাংলার মাটিতেই কোজাগরী-সহ বিভিন্ন মাসের বিভিন্ন তিথিতে পাতা হয় লক্ষ্মীর ঘট। দেশের অন্য প্রান্তে দীপাবলির সময়েই লক্ষ্মীপুজোর প্রচলন বেশি। বাংলাতেও মূলত এ দেশীয় এবং পূর্ববঙ্গের কিছু জেলার পরিবারে কালীপুজোর সময় অলক্ষ্মী বিদায় করে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়।

মহাশক্তি মহামায়ার শাখাশক্তি দেবী লক্ষ্মী ঐশ্বর্য ও সম্পদের প্রতীক। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন রূপে তিনি পূজিত হন। বাংলার মাটিতেই কোজাগরী-সহ বিভিন্ন মাসের বিভিন্ন তিথিতে পাতা হয় লক্ষ্মীর ঘট। দেশের অন্য প্রান্তে দীপাবলির সময়েই লক্ষ্মীপুজোর প্রচলন বেশি। বাংলাতেও মূলত এ দেশীয় এবং পূর্ববঙ্গের কিছু জেলার পরিবারে কালীপুজোর সময় অলক্ষ্মী বিদায় করে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়।

০৩ ১৪
বিশেষ তিথি নক্ষত্র ছাড়াও লক্ষ্মীপুজো প্রতি বৃহস্পতিবার বাঙালি গৃহস্থ সংসারের অঙ্গ। যার প্রধান আকর্ষণ পাঁচালিপাঠ। দেশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে লক্ষ্মীদেবীর বিভিন্ন মন্দির। সম্পদের দেবীর নিত্যপুজো হয় সেখানেও। এখানে বলা হল বাংলার বাইরে দেশের অন্যান্য অংশে বিখ্যাত কিছু লক্ষ্মীমন্দির সম্বন্ধে।

বিশেষ তিথি নক্ষত্র ছাড়াও লক্ষ্মীপুজো প্রতি বৃহস্পতিবার বাঙালি গৃহস্থ সংসারের অঙ্গ। যার প্রধান আকর্ষণ পাঁচালিপাঠ। দেশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে লক্ষ্মীদেবীর বিভিন্ন মন্দির। সম্পদের দেবীর নিত্যপুজো হয় সেখানেও। এখানে বলা হল বাংলার বাইরে দেশের অন্যান্য অংশে বিখ্যাত কিছু লক্ষ্মীমন্দির সম্বন্ধে।

০৪ ১৪
তামিলনাড়ুর ভেলোরে আছে শ্রীপুরম স্বর্ণমন্দির। মালাইকোডি পাহাড়ের উপরে এই মন্দিরে বছরভর পূজিত হন দেবী লক্ষ্মী।

তামিলনাড়ুর ভেলোরে আছে শ্রীপুরম স্বর্ণমন্দির। মালাইকোডি পাহাড়ের উপরে এই মন্দিরে বছরভর পূজিত হন দেবী লক্ষ্মী।

০৫ ১৪
দিল্লিতে সাড়ে ৭ একর জমির উপর দাঁড়িয়ে আছে লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির। যুগলকিশোর বিড়লার তৈরি করানো এই দেবস্থানের আর এক পরিচয় ‘বিড়লা মন্দির’। ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৯ সালের মধ্যে নির্মিত এই মন্দির উদ্বোধন করেছিলেন মহাত্মা গাঁধী। জন্মাষ্টমী এবং দীপাবলিতে এই মন্দিরে উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়।

দিল্লিতে সাড়ে ৭ একর জমির উপর দাঁড়িয়ে আছে লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির। যুগলকিশোর বিড়লার তৈরি করানো এই দেবস্থানের আর এক পরিচয় ‘বিড়লা মন্দির’। ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৯ সালের মধ্যে নির্মিত এই মন্দির উদ্বোধন করেছিলেন মহাত্মা গাঁধী। জন্মাষ্টমী এবং দীপাবলিতে এই মন্দিরে উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়।

০৬ ১৪
মুম্বইয়ের মহালক্ষ্মী মন্দির তৈরি হয়েছিল ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে। এই মন্দির নির্মাণের সঙ্গে জুড়ে আছে এক কিংবদন্তি। ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে মুম্বইয়ের ৭টি দ্বীপকে একসঙ্গে সংযুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন গভর্নর উইলিয়াম হর্নবি।

মুম্বইয়ের মহালক্ষ্মী মন্দির তৈরি হয়েছিল ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে। এই মন্দির নির্মাণের সঙ্গে জুড়ে আছে এক কিংবদন্তি। ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে মুম্বইয়ের ৭টি দ্বীপকে একসঙ্গে সংযুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন গভর্নর উইলিয়াম হর্নবি।

০৭ ১৪
সেই প্রজেক্টের নাম লোকের মুখে হয়ে দাঁড়ায় হর্নবি ভেলার্ড। পর্তুগিজ ভাষায় ভেল্লাডো শব্দের অর্থ ‘বাঁধের দেওয়াল’।

সেই প্রজেক্টের নাম লোকের মুখে হয়ে দাঁড়ায় হর্নবি ভেলার্ড। পর্তুগিজ ভাষায় ভেল্লাডো শব্দের অর্থ ‘বাঁধের দেওয়াল’।

০৮ ১৪
কিন্তু কিছুতেই এই প্রজেক্টের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। জনশ্রুতি, এই কাজের সঙ্গে যুক্ত মুখ্য বাস্তুবিদ এর পর স্বপ্নাদেশ পান। সেখানে তাঁকে বলা হয় সমুদ্রে নীচ থেকে মা লক্ষ্মীকে বার করে এনে মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

কিন্তু কিছুতেই এই প্রজেক্টের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। জনশ্রুতি, এই কাজের সঙ্গে যুক্ত মুখ্য বাস্তুবিদ এর পর স্বপ্নাদেশ পান। সেখানে তাঁকে বলা হয় সমুদ্রে নীচ থেকে মা লক্ষ্মীকে বার করে এনে মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

০৯ ১৪
সত্যিই নাকি স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী ওরলির সমুদ্রের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয় দেবী লক্ষ্মীর মূর্তি। তার পর নির্মিত হয় মন্দির। তার পর নাকি হর্নবি ভেলার্ড প্রজেক্টের কাজে আর কোনও বাধা আসেনি। সাতটি দ্বীপকে যু্ক্ত করার দীর্ঘ কাজ শেষ হয় ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে।

সত্যিই নাকি স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী ওরলির সমুদ্রের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয় দেবী লক্ষ্মীর মূর্তি। তার পর নির্মিত হয় মন্দির। তার পর নাকি হর্নবি ভেলার্ড প্রজেক্টের কাজে আর কোনও বাধা আসেনি। সাতটি দ্বীপকে যু্ক্ত করার দীর্ঘ কাজ শেষ হয় ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে।

১০ ১৪
কর্নাটকের হাসান জেলার লক্ষ্মী মন্দির অত্যন্ত প্রাচীন। দ্বাদশ শতকে হোয়সল বংশের রাজা বিষ্ণুবর্ধনের রাজত্বকালে এই মন্দির নির্মিত হয়েছিল।

কর্নাটকের হাসান জেলার লক্ষ্মী মন্দির অত্যন্ত প্রাচীন। দ্বাদশ শতকে হোয়সল বংশের রাজা বিষ্ণুবর্ধনের রাজত্বকালে এই মন্দির নির্মিত হয়েছিল।

১১ ১৪
চেন্নাইয়ের ইলিয়ট সৈকতের কাছে লক্ষ্মী মন্দির আবার বয়সের দিক দিয়ে বেশ নবীন। বিংশ শতকে নির্মিত এই মন্দিরে দেবী লক্ষ্মী ৮ রূপে পূজিত হন। এই মন্দিরের আর এক নাম অষ্টলক্ষ্মী মন্দির।

চেন্নাইয়ের ইলিয়ট সৈকতের কাছে লক্ষ্মী মন্দির আবার বয়সের দিক দিয়ে বেশ নবীন। বিংশ শতকে নির্মিত এই মন্দিরে দেবী লক্ষ্মী ৮ রূপে পূজিত হন। এই মন্দিরের আর এক নাম অষ্টলক্ষ্মী মন্দির।

১২ ১৪
রাজস্থানের করৌলিতে দেবী মহালক্ষ্মী পূজিত হন কৈলা দেবী রূপে। বেশ কিছু রাজপুত বংশের কুলদেবী তিনি।

রাজস্থানের করৌলিতে দেবী মহালক্ষ্মী পূজিত হন কৈলা দেবী রূপে। বেশ কিছু রাজপুত বংশের কুলদেবী তিনি।

১৩ ১৪
কর্নাটকের গোরাবনহল্লি মন্দির ভক্তদের কাছে খুবই প্রিয় গন্তব্য। তুমকুর জেলার এই মন্দির তৈরি করা হয়েছিল বিশ শতকের গোড়ায়। প্রচলিত বিশ্বাস, মন্দিরের দেবী স্বয়ম্ভু। অর্থাৎ তিনি নিজের থেকেই সৃষ্টি হয়েছেন।

কর্নাটকের গোরাবনহল্লি মন্দির ভক্তদের কাছে খুবই প্রিয় গন্তব্য। তুমকুর জেলার এই মন্দির তৈরি করা হয়েছিল বিশ শতকের গোড়ায়। প্রচলিত বিশ্বাস, মন্দিরের দেবী স্বয়ম্ভু। অর্থাৎ তিনি নিজের থেকেই সৃষ্টি হয়েছেন।

১৪ ১৪
মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস, বিষ্ণু এবং লক্ষ্মী তাঁদের শহরে বাস করেন এবং আশীর্বাদ করেন। কোলহাপুরবাসীর কাছে মহালক্ষ্মী মন্দির খুবই পবিত্র দেবালয়। সুদূর অতীতে চালুক্য বংশের শাসকদের রাজত্বকালে এই মন্দির নির্মিত হয়েছিল।

মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস, বিষ্ণু এবং লক্ষ্মী তাঁদের শহরে বাস করেন এবং আশীর্বাদ করেন। কোলহাপুরবাসীর কাছে মহালক্ষ্মী মন্দির খুবই পবিত্র দেবালয়। সুদূর অতীতে চালুক্য বংশের শাসকদের রাজত্বকালে এই মন্দির নির্মিত হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy