Jagadhatri Puja2022: Story of Chandannagar's famous jagadhatri puja dgtl
Jagadhatri Puja2022
চন্দননগরের ‘আদিপুজো’, আজও বিসর্জনের পরে প্রতিমার চারপাশ ঘুরে বেড়ায় সাপ
বিসর্জনের সময় নিয়ম করে একটি সাপ আসে এই ঘাটে। প্রতিমা বিসর্জনের পরে নিমজ্জিত প্রতিমার চারপাশে ঘুরে সেটি আবার চলে যায়।
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২ ১৭:৫৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
কড়া নাড়ছে জগদ্ধাত্রী পুজো। বাঙালির কাছে জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই চন্দননগর, আর আলোর রোশনাই। সেই চন্দননগরে পুজো শুরু শনিবার থেকেই। ইতিমধ্যেই মায়াবী আলোয় সেজেছে গোটা শহর।
০২১৫
তবে জানেন কি, ঠিক কবে, কোথায় এই উদযাপন শুরু চন্দননগরে? ইতিহাস বলে, প্রায় ৩০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল চন্দননগর চাউলপট্টির জগদ্ধাত্রী পুজো। তাতে যুক্ত ছিলেন খোদ রাজা কৃষ্ণচন্দ্র!
০৩১৫
কথিত, এক বার খাজনা দিতে না পারায় ব্রিটিশেরা বন্দি করে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে। তখন দুর্গা পুজোর সময়। মায়ের আরাধনা করতে না পারায় বেশ বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
০৪১৫
কারাগারে থাকাকালীনই নাকি রাজা স্বপ্নাদেশ পান মায়ের। দেবী দুর্গা তাঁকে বলেন, তাঁর আর এক রূপ জগৎজননী জগদ্ধাত্রী মায়ের আরাধনা করতে। সেই মতো কারাগার থেকে মুক্ত হয়েই নৌকোয় পাড়ি দেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।
০৫১৫
রাজা গিয়ে পৌঁছন চন্দননগরে, যার তখনকার নাম ছিল ফরাসডাঙা। চন্দননগরের দেওয়ান ইন্দ্রনারায়ণ ও কৃষ্ণচন্দ্র ছিলেন বন্ধু। দুই বন্ধু মিলে চালু করেন চাউলপট্টির এই জগদ্ধাত্রী পুজো।
০৬১৫
চন্দননগরের এই পুজো তখন থেকেই আদি মায়ের নামে পরিচিত। ইতিহাস বলে, পরে নাকি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কৃষ্ণনগরে ফিরে এসেও শুরু করেন মায়ের আরাধনা।
০৭১৫
চাউলপট্টির এই উৎসবের আড়ম্বর হার মানাবে অনেক দুর্গা পুজোকেও। চার দিন ধরে বেশ জাঁকজমক করেই হয় মা জগদ্ধাত্রীর আরাধনা।
০৮১৫
এই পুজোর সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হল জোগাড়যন্ত্র করেন শুধু পুরুষেরাই। মহিলারা এতে হাত লাগান না।
০৯১৫
মায়ের কাছে অর্পণ করা হয় সহস্র বস্ত্র। তবে তার নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ। এই বস্ত্র পুজো শেষে বিতরণ করা হয় দুঃস্থ শিশুদের মধ্যে।
১০১৫
শুধু তাই নয়, মায়ের কাছে অর্পণ করা ফল পাঠিয়ে দেওয়া হয় সদর হাসপাতালগুলিতে। সেই ফল দেওয়া হয় রোগীদের।
১১১৫
চাউলপট্টির এই পুজোকে কেন্দ্র করে চন্দননগরে বিরাট মেলা বসে। নবমীর দিন আয়োজিত হয় বিশেষ ধুনো পোড়ার অনুষ্ঠান।
১২১৫
এই পুজো সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র এর নিজস্বতায়। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে এখনও এই পুজোয় এখনই পশুবলি প্রথা আছে।
১৩১৫
বংশপরম্পরায় একজন একজন কুল পুরোহিত দেবীর পুজো করেন।
১৪১৫
দেবীর বিসর্জনের জন্য রয়েছে নিজস্ব ঘাটও। সেখানে একমাত্র এই ঠাকুরই বিসর্জন হয়। বিসর্জনের পরেই কাঠামো তোলা হয় পূর্ণিমার দিনে। প্রতিমার উচ্চতা ১৮ ফুট। চালচ্চিত্র ধরলে সেই উচ্চতা দাঁড়ায় ২৬ ফুটে।
১৫১৫
দেবীর বিসর্জনকে ঘিরেও রয়েছে এক অলৌকিক ঘটনা, যা লোকমুখে প্রচলিত। প্রতি বছর, বিসর্জনের সময় নিয়ম করে একটি সাপ আসে এই ঘাটে। প্রতিমা বিসর্জনের পরে নিমজ্জিত প্রতিমার চারপাশে ঘুরে সেটি আবার চলে যায়।