‘শিব পুরাণ’ থেকে জানা যায়, একদা মন্দার পর্বতে ধ্যানমগ্ন শিবের সঙ্গে কৌতুক করে পার্বতী তাঁর চোখগুলি চেপে ধরেন। শিবের চোখ বন্ধ হওয়ায় ত্রিভুবন জুড়ে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। শিব ঘামতে শুরু করেন। তাঁর ঘামে পার্বতীর স্পর্শ পড়তেই তা থেকে জন্ম নেয় এক পুত্রসন্তান। সে ভীষণদর্শন এবং অন্ধ। পার্বতী তাকে দেখা মাত্রই পরিত্যাগ করতে চান। কিন্তু শিব তাঁকে বোঝান, সে যে হেতু তাঁদের দু’জনের স্পর্শে জন্মেছে, সে হেতু সে তাঁদের সন্তান। তাকে পরিত্যাগ করা যাবে না। শিশুটির নাম রাখা হয় অন্ধক। অর্থাৎ ‘যে অন্ধকারকে সৃষ্টি করে’।