বাইরে অবিরাম বৃষ্টি, ঘরে তখন হরেক সাজে মোহময়ী মধুমিতা।
শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২১ ২১:৪৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
ঝমঝম বৃষ্টি। কালো মেঘে ঢেকেছে আকাশ। বারান্দার রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে মধুমিতা সরকার। হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে নিচ্ছেন বৃষ্টির ফোঁটা। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে তাঁর ফোটোশ্যুট শুরু হল এ ভাবেই।
০২১২
বাইরে বাড়ছে বৃষ্টির তোড়, ঘরের ভিতরে তখন সেজে উঠছেন মধুর মধুর চাউনির কন্যে। গায়ে জড়ালেন পোশাক শিল্পী সন্দীপ জয়সওয়ালের বেছে দেওয়া সবুজ রঙের শাড়ি। তার পাড় বরাবর সোনালি ফুলের কাজ।
০৩১২
এই শাড়ির সঙ্গে মধুমিতা পরেছেন ঘিয়ে রঙা হাতাকাটা ব্লাউজ। এক ঢাল খোলা চুলে ঢেকেছে পিঠ। কপালে ছোট্ট টিপ আর কানে ঝুমকো পরেই ফের বারান্দার দিকে ছুট। আনমনে খানিক ক্ষণ বৃষ্টি দেখলেন ‘পর্দা’পারের মেয়ে।
০৪১২
শাড়ি তো হল। পুজোয় সব ধরনের পোশাক নিয়েই পরীক্ষানিরীক্ষা করবেন ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’র পাখি। নাকি ‘কুসুমদোলা’র ইমন? সবুজ পেরিয়ে তাঁর মন তখন হলদে রঙা ঘাগরা-চোলিতে।
০৫১২
ভি-কাটের চোলির সঙ্গে সুতোর কাজ করা বাহারি ঘাগরা। সঙ্গে হাতে একগুচ্ছ সোনালি বালা গলিয়ে নিলেন মধুমিতা। গলায় ভারী হার।
০৬১২
উজ্ব্বল রঙে সেজে উঠে মধুমিতা ছুটলেন এক আলো-আঁধারি ঘরের দিকে। নিজেই বুঝি হয়ে উঠবেন সব আলোর উৎস। পোশাকের হলুদ তত ক্ষণে মিলেমিশে গিয়েছে তাঁর সোনারং ত্বকে।
০৭১২
নতুন ছবি করছেন মধুমিতা। অনেকখানি ওজন ঝরিয়ে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। থাকছেন কড়া ডায়েটে। অর্থাৎ মাপ বুঝে নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া। কিন্তু সাজগোজ? তার তো কোনও কড়াকড়ি নেই! হাল্কা রঙের ঘাগরা-চোলি থেকে তাই মন ঘুরল জমকালো লেহঙ্গার দিকে।
০৮১২
এই মধুমিতা একেবারে অন্য রকম। যেন রূপকথার পাতা থেকে উঠে আসা রাজকন্যে। গাঢ় নীল রঙা বাহারি লেহঙ্গায় রাজকীয় মেজাজ। শরীর ঢেকেছে গয়নায়।
০৯১২
মাথায় ভারী টিকলি, গলায় কুন্দন হার, নাকে নথ, একগুচ্ছ চুড়ি— এমন সাজে মধুমিতাকে সচরাচর দেখা যায় না। অচেনা রূপেই অনন্যা অভিনেত্রী।
১০১২
দুর্গাপুজোর সাজে থাকবে না লাল শাড়ি? তা আবার হয় নাকি! রাজকীয় বেশ ছেড়ে ভারী কাজের লাল শাড়িতে নিমেষে নিখাদ বঙ্গনারী মধুমিতা।
১১১২
লাল জমির শাড়িতে সোনালি সুতোর কাজ। গাঢ় কাজল-রেখায় মোহময়ী চোখ। খোঁপায় লাল ফুল। কপালে লাল টিপ আর গা-ভরা সোনালি গয়নায় ঝলমলে তারকা-কন্যা।