Durga Puja 2020: Uses of different Oils for Skin to Toe care during Covid-19 dgtl
Durga Puja 2020
শরীর মনে জেল্লা আনতে পুজোর আগে কোন কোন তেলে হবেন তাজা?
বাড়িতে কী কী তেল থাকলে সুবিধা হতে পারে?
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:০০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
আকষর্ণীয় চেহারা পেতে চুল থেকে নখ— শরীরের সব অংশেরই নিয়মিত যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। জানেন কি সব কিছুর যত্ন নিতেই রয়েছে বিভিন্ন তেল। শুধু মাত্র তেলের ব্যবহারেই আপনি পেতে পারেন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চেহারা। জেনে নিন কোন তেল কী ভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
০২১৩
নারকেল তেল: চুলের যত্নে নারকেল তেলের বিকল্প নেই। এর ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে কন্ডিশনিং করে। অল্প নারকেল তেল গরম করে মাথার ত্বকে ভাল করে মাসাজ করুন। কিছু ক্ষণ রেখে কম ক্ষারযুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। এতে চুল নরম হবে ও গোড়া প্রয়োজনীয় ফ্যাটটুকু পাবে।
০৩১৩
ফাটা পায়ের সমস্যা দূর করতে অব্যর্থ নারকেল তেল। রাতে ঘুমনোর সময় পায়ের পাতায় নারকেল তেল মেখে শুতে যান। ২ সপ্তাহের মধ্যে ফাটা দূর হয়ে পায়ের পাতা নরম হবে।
০৪১৩
সর্ষের তেল: রোদে বেরনোর কারণে ত্বকে ট্যান পড়া স্বাভাবিক। ডার্ক স্পট, ট্যান বা পিগমেন্টেশন কাটিয়ে ওঠার জন্য বেসন, দই, লেবুর রসের সঙ্গে সর্ষের তেল মিশিয়ে মুখে-ঘাড়ে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে তিন দিন তেল দিয়ে তৈরি এই মাস্ক ব্যবহার করলে এক মাসের মধ্যেই ফল পাওয়া যাবে।
০৫১৩
চুল পড়ার সমস্যা নতুন কিছু নয়। একই সঙ্গে রয়েছে চুল ঠিকমতো না বেড়ে ওঠার সমস্যাও। এর জন্য সামান্য সর্ষের তেল স্কাল্পে মাসাজ করে শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। প্রায় তিন ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল পড়া ও চুল না বাড়ার সমস্যা খানিকটা মিটবে।
০৬১৩
অলিভ অয়েল: রূপচর্চা ও ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েলের ব্যবহারও বহু প্রাচীন। ত্বক আর্দ্র রাখা, অ্যাকনের সমস্যা দূর করায় কার্যকর উপাদান হিসেবে জলপাইয়ের তেল বা অলিভ অয়েলের ব্যবহার বহুল প্রচলিত।
০৭১৩
আন্ডার আই ময়শ্চারাইজার হিসেবে, মেকআপ রিমুভার হিসেবে এবং চুলের কন্ডিশনার হিসেবেও অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
০৮১৩
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি হিসেবে সুপরিচিত অলিভ অয়েল। বলিরেখা দূর করতে, ক্ষত সারাতেও উপযোগী। পুজোর আগে খসখসে ত্বকের জেল্লা ফেরাতে অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই।
০৯১৩
আমন্ড তেল বা কাঠবাদাম তেল: আমন্ডে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল থাকে যা কিউটিকলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত নখে আমন্ড অয়েল লাগালে তা নখ হলুদ হয়ে যাওয়া, ভেঙে যাওয়া রোধ করতে পারে।
১০১৩
তিলের তেল বা সিসেম অয়েল: মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ, দাঁতের ক্ষয় রোধে প্রতি দিন ব্যবহার করুন তিলের তেল। এতে দাঁত সাদা, ঝকঝকেও হবে। সুন্দর হাসির অন্যতম শর্তই হল সুন্দর ঝকঝকে দাঁত। তাই দাঁতের যত্ন নিতে ভুলবেন না যেন।
১১১৩
হিবিস্কাস অয়েল বা জবার তেল: এই তেলের মধ্যে থাকা খনিজ চুল ঘন করতে ও চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
১২১৩
ক্যাস্টর অয়েল বা রেড়ির তেল: এই তেলে থাকা লিনোলেনিক অ্যাসিড চোখের পাতা ও ভ্রু ঘন করতে সাহায্য করে। যাঁদের ক্ষেত্রে ভ্রু কম ওঠে, তাঁরা নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।
১৩১৩
ফ্লাক্সসিড অয়েল: শরীরে বিপাক ক্রিয়ার হার বাড়িয়ে ডিটক্স করতে সাহায্য করে ফ্লাক্সসিড অয়েল। শরীর তরতাজা থাকলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধশক্তি। তবেই তো ঝকঝকে লাগবে আপনাকে।