Durga Puja 2020: Special traditional look of Jaya Ahsan dgtl
Durga Puja 2020
কলকাতার মণ্ডপ আর ঢাকায় বনানীর দুর্গা না দেখলে মনে হয় না দুর্গা পুজো এল!
ঢাকা থেকে ফোনে আনন্দবাজার ডিজিটালকে বললেন জয়া, “শেষ কিছু বছর ধরে আমার কাছে পুজোর আনন্দ মানে ছবি রিলিজ করা।”
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২০ ১৫:১৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
২০১৭- থেকে লম্বা ইনিংস খেলতে মাঠে নেমেছেন তিনি। শুধু একের পর এক ছবি করা নয়। প্রত্যেক ছবিতে বক্স অফিসের সাফল্যকে সুনিশ্চিত করেছেন জয়া। এ বছর রিলিজ করেছে তাঁর তিনটি ছবি। বক্স অফিসে সাফল্যের নিরিখে ‘দেবী’, ‘বিজয়া’, ‘কণ্ঠ’— তিনটিই সুপারহিট। শুধু এ বছরই নয়। ইতিমধ্যেই জয়া সাজিয়ে নিয়েছেন পরের বছরের বাছাই করা ছবির লম্বা তালিকা। আনন্দবাজার ডিজিটালের জন্য পুজোর সাজে সেজে উঠলেন জয়া।
০২১০
ঢাকা থেকে ফোনে আনন্দবাজার ডিজিটালকে বললেন জয়া, “শেষ কিছু বছর ধরে আমার কাছে পুজোর আনন্দ মানে ছবি রিলিজ করা। সৃজিতের যে কটি ছবি আমি করেছি সেগুলি পুজোতেই মুক্তি পেয়েছে। বড় হওয়ার পর তাই এটাই আমার কাছে পুজোর মূল আকর্ষণ।”
০৩১০
পুজোর লুকে সাবেকি সাজ পছন্দ জয়ার। তাই ঘাগড়া আর শাড়িতে রঙিন হয়ে উঠলেন জয়া। রঙের মধ্যেও নতুন ভাবনা এনেছেন অভিনেত্রী। সম্পূর্ণ সাদা, পিচ, হাল্কা কমলা জয়ার পছন্দের রং। ঘাগড়ায় ঘন ফুলেল কাজের বাহারে সেজে উঠলেও, শাড়ির ক্ষেত্রে গ্রে বা সাদা রঙে বর্ণিল হয়ে উঠেছেন জয়া।
০৪১০
অতনু ঘোষের ‘বিনি সুতো’, ‘রবিবার’ জয়ার কেরিয়ারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছবি। এই প্রথম ‘বিনিসুতো’-য় ঋত্বিক চক্রবর্তী। অন্য দিকে, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট পরিচালকের ‘অর্ধাঙ্গিনী’-তে একেবারে ভিন্ন মেজাজে দেখা যাবে জয়াকে।
০৫১০
তাঁর পরি আর ভূতের ম্যাজিকাল অভিনয় ক্যামেরাবন্দি করেছেন সৌকর্য ঘোষাল। জয়া সেখানে ‘ভূতপরি’। আর সে ছবি প্রেজেন্ট করছেন স্বয়ং কোয়েল মল্লিক! ফাংশন, মাচা, পুজো ওপেনিং-এর হিড়িকে স্টারেরা অনেক সুলভ। মিস্টিক দূরত্ব নেই। জয়া বাংলাদেশি তাই কথা বলেন পূর্ব বাংলার টানে। তাঁর অ্যাপিল সেই জন্য কনভেনশনাল নয়। তাঁর আবেদন ভিন্ন স্বাদের।
০৬১০
যুগ যুগ ধরে সমাজের ‘অঙ্গ’ হিসেবে পরিচিত মেয়েদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে প্যান কমনওয়েলথ প্ল্যাটফর্মে মুখ খুললেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বহু তারকা সামিল এই প্রতিবাদ প্রচারে।
০৭১০
‘নো মোর’ ক্যাম্পেনিংয়ে সামিল জয়াও। এই বিষয়ে কী বললেন ‘বিজয়া’র ‘জয়া’? তাঁর ক্ষোভ, ‘‘হতে পারে এই অত্যাচার যৌন নিপীড়ন। হতেই পারে মারধর, গার্হস্থ্য হিংসা। অনন্তকাল ধরে যা নীরবে সহ্য করে আসছেন নানা বয়সের মেয়ে। আজ পর্যন্ত ঘটনাগুলোর প্রতিবাদ করেনি কেউ! অত্যাচার থামানোরও চেষ্টা করেনি। উল্টে সাফাই গেয়েছে, এটা ব্যক্তিগত ঘটনা। এই নিয়ে বাইরে কথা হবে কেন? এবার বলার সময় এসেছে, ‘আর না’।’’
০৮১০
এবার পুজো কেমন কাটবে জানেন না জয়া। বললেন, “আমার অক্টোবরে কলকাতা আসার কথা। তার একটু আগেই চলে আসতে চাই যাতে অন্তত পুজোর আমেজটা বুঝতে পারি। কলকাতা ছাড়া পুজো ভাবতেই পারিনা। এখানেও পুজো হবে। তবে ঠাকুর দেখতে যেতে পারবো কিনা জানিনা। আমাদের সবচেয়ে বড় পুজো হয় বনানীর মণ্ডপে। প্রচুর লোকজন আসেন সেখানে। তবে এ বার তা কতটা হবে জানিনা। হয় তো সোশ্যাল মিডিয়াতে ঠাকুর দেখতে হবে।”
০৯১০
লকডাউনের মধ্যেই জানা গিয়েছে, শিলাদিত্য মৌলিকের নতুন ছবি ‘ছেলেধরা’-র কেন্দ্রীয় ভূমিকায় থাকবেন জয়া। ‘ছেলেধরা’-তে উঠে আসবে এক জন অ্যালকোহলিক মা ও মেয়েকে অপহরণের গল্প। দেখা যাবে, অপহৃত হওয়ার পর থেকেই অপহরণকারীর ছেলেকে নিজেদের নাগালের মধ্যে পেতে চান ওই অ্যালকোহলিক মহিলা। অবশেষে সেটা সম্ভবও হয়। নিজের ছেলেই যখন অপহরণের শিকার, তখন অপহরণকারীর ঠিক কী অনুভূতি হতে পারে? এই পটভূমিতেই তৈরি হচ্ছে ‘ছেলেধরা’।
১০১০
লকডাউনে সোশ্যাল মিডিয়ায়, নানা ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন জয়া সেখানে দেখা গিয়েছে জয়ার বাড়ির বারান্দায়, ছাদে বড়-ছোট-মাঝারি মাপের অসংখ্য টব। তিনি নানা ধরনের গাছের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নতুন চারাও লাগাচ্ছেন। পাশে আছে তাঁর সঙ্গী সারমেয়। ক্যাপশনে জয়া লেখেন, “সবচেয়ে ভাল সময় কাটানোর উপায় গাছ লাগানো। সবুজের সঙ্গে সময় কাটানো। এতে পৃথিবী দূষণমুক্ত হবে অনেকটাই।”