ইন্দ্রাণী বিশ্বাস, সবাই অবশ্য তাঁকে ওয়ান্ডার মুন্না নামেই চেনেন। বিখ্যাত ইউটিউবার ওয়ান্ডার মুন্না, ইউটিউবে তার সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ছাড়িয়েছে তিন মিলিয়নের গণ্ডি। মুন্না এবং তার পরিবারের কাণ্ড কারখানা দেখতে বেশ ভালবাসেন দর্শকরা। সেই মুন্নাই এ বছর পুজোয় কী করছে? কার সঙ্গে কাটাবেন তিনি পুজো? কোথায় গেলে দেখা পাওয়া যাবে তাঁর? জানালেন আনন্দবাজার অনলাইনকে।
পুজোয় কলকাতাতেই আছেন তিনি। পুজোর দিনে পরিবারের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যাবেন। অষ্টমীর দিনে পরিবারের সঙ্গে ঘুরে দেখবেন কলকাতার নানা রাজবাড়ি এবং বনেদি বাড়ির পুজো। আবার সময় কাটাবেন মানিকতলায় বন্ধুর বাড়ির পুজোতেও।
ছোট বেলার পুজোকে আজও খুব মিস করেন ইন্দ্রাণী। পাড়ায় বসে আড্ডা দেওয়া, খিচুড়ি খেতে খুব ভালবাসেন তিনি। পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে ছোটবেলায় সারাদিন খেলাধুলো করা সময়টা মনের খুব কাছের।
তবে পুজোর সময় মায়ের কথা খুব মনে পড়বে তাঁর। কোভিডের সময় মাকে হারিয়েছেন। তাই পুজোর সময় আরও বেশি বেশি করে মা থাকবেন মন জুড়ে। জামাকাপড় বাছা থেকে ঘুরতে যাওয়া সব কিছুতেই সঙ্গী থাকতেন মা।
পুজোর প্রেমের কথা বলতেই যেন একটু লজ্জা পেলেন তিনি। পুজোতে অনেকের সঙ্গেই ঘুরেছেন তিনি। তবে সব প্রেমই নাকি পুজোতে শুরু হয়ে আবার পুজোতে শেষ হয়ে গিয়েছে। ঠিকঠাক পুজোর প্রেম প্রথম হয় ২০১৮তে। সেই অভিজ্ঞতা একদম অন্য রকম। সারা রাত রাত জেগে ঠাকুর দেখা, খেতে যাওয়া, সময় কাটানো সে সব দারুণ ব্যপার।
‘ক্রাশের’ কথা হতেই বললেন এক মজার ঘটনা। তাঁর প্রথম ‘ক্রাশ’ নাকি দিদির এক বন্ধু। তখন সবে অষ্টম শ্রেণী। শুধু কবিতা পড়েই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর পর যখন কথা হয়, তখন তো একদম হাবুডুবু খাচ্ছেন প্রেমে। তবে ছেলেটির তরফ থেকে প্রেমে সাড়া না পাওয়ায় আর কিছু হয়ে ওঠেনি।
তবে এ বারের পুজো কিন্তু কাটাবেন প্রিয় মানুষটির সঙ্গে। শাড়ি এবং পাঞ্জাবি পরে বেরোবেন ঠাকুর দেখতে। ইন্দ্রাণীর কথায়, ‘সে রাঁধেন এবং চুলও বাঁধেন। সে থ্রেডিং থেকে কোডিং সবই পারেন, আবার ছবিও তুলতে পারেন। ২০১৮ থেকে তাঁর সঙ্গেই পুজো কাটাচ্ছি। আশা করি সামনের বছরগুলিতেও তাই হবে।’
পুজোয় যদি আপনিও দেখা করতে চান ওয়ান্ডার মুন্নার সঙ্গে, তা হলে কিন্তু যেখানে ভাল খাবার দাবার পাওয়া যায়, সেখানেই যেতে হবে আপনাকে। পুজোর আগেই আসছে পুজো নিয়ে ভিডিয়ো সিরিজ, তাই এখন তিনি ভীষণ ব্যস্ত। ভক্তদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘পুজোর সময় সবাই আনন্দ করুন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। আর কেউ পুজোর সময় ঝগড়া করবেন না।’
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy