Advertisement

Associate Partner

Style Partner

Associate Partner

Weddings Partner

Food Partner

Durga Puja 2022

টিকিট নেই বলে বাস থেকে নামিয়ে দিয়েছিল! পুজোয় পিছু ফিরলেন মেহতাব

"তৃতীয় বর চাইব, প্রলোভন ছেড়ে যেন মানুষের জন্য কাজ করি আমরা। গদির মোহ ছেড়ে রাজনীতিবিদদেরও তাই উচিত ভাল কাজ করা।"

ময়দানের তারকার জীবনীচিত্র: মেহতাব

ময়দানের তারকার জীবনীচিত্র: মেহতাব

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২২ ১৭:২৮
Share: Save:

ময়দানের তারকার পুজো নিয়ে শোনা যাক এ বার? আনন্দ উৎসবের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় মেহতাব হোসেন। কী ভাবে পুজো কাটালেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার?

কেমন কাটল তাঁর পুজো? ঝটিতি জবাবও মিলল ফুটবলার মেহতাব হোসেনের কাছে- “অনেক দিন পরে আমরা পুরোপুরি ভাবে কোভিড মুক্ত পুজো পেলাম এ বছর। বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সঙ্গেই পুজো কাটল। দীর্ঘদিন যাদের সঙ্গে দেখা হয় না, তাদের সবাইকে নিয়ে বেশ আনন্দ, মজা করেই জমিয়ে পুজো উপভোগ করলাম।”

পুজো উদ্বোধন ছাড়াও নানা কার্যক্রম চলেছে ধারাবাহিক ভাবে। ব্যস্ততাও ছিল তুঙ্গে। ময়দানের তারকার একটি জীবনীচিত্র হতে চলেছে, ‘মেহতাব’। প্রযোজনায় ধাগা প্রোডাকশনস, পরিচালক বাপ্পা। মুক্তি পেতে পারে আগামী বছর। সম্প্রতি ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়াও সামনের বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দেবেন, তার প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে।

ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে 'মেহতাব' -এর প্রথম পোস্টার প্রকাশ

ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে 'মেহতাব' -এর প্রথম পোস্টার প্রকাশ

মেহতাব বলেন, “ছোটবেলায় আমার কোচ অভিদা-র সঙ্গে ঘুরতে যেতাম। বন্ধুদের সঙ্গেও বেরোতাম। আমি সব সময়েই সব উৎসবে আনন্দ করি খুব। পাড়ার বন্ধুরা মিলে হেঁটে হেঁটে লেবুতলা পার্ক, বাবুবাগান, দেশপ্রিয় পার্ক, এইট বি-তে যেতাম। তখন হয়তো কারও কাছে পাঁচ টাকা রয়েছে। সেটা দিয়েই সবাই মিলে একটা কোল্ড ড্রিংক কিনে খেলাম। এই চার পাঁচ জন মিলে ভাগাভাগি করে খাওয়ার মজাটাই আলাদা। তার পর ট্রেনে চড়ে ঘুরে বেড়াতাম তখন। ছোট ছিলাম, ভাড়া দিতে হত না। সময়টা বেশ মজার ছিল। এখন টাকা থাকলেও সেই পুরনো আনন্দটা আর নেই।“

ছোটবেলার কোনও স্মৃতি এখনও টাটকা? মেহতাব বলেন, “এক বার টিকিট ছিল না বলে বাস থেকে নামিয়ে দিয়েছিল আমায়! টিকিট চাইতে এসেছে। বললাম, দাদা টিকিট তো নেই। ওমনি 'এই, নামো নামো' করে বাস থেকে সটান নামিয়ে দিয়েছিল। এই ঘটনাটা কোনও দিন ভুলব না।“

আর পুজোর প্রেম? ময়দানের তারকা ফুটবলারের কথায়, “অল্প বয়স ছিল যখন, প্রচুর মেয়ের পিছনে যেতাম পুজোর সময়। কিন্তু পুজোর আসল প্রেম বলতে যেটা অনুভব করতাম, তা হল পুজোর আমেজ। কাশফুল, শরতের আকাশ, হাওয়া, মাটির গন্ধ, পুজো আসছে-র অনুভূতিটা যে কী ভাললাগার! একটা আলাদা মিষ্টি গন্ধ ভেসে বেড়ায় এই সময়টায়, সেটাই তো পুজোর গন্ধ। আজও মন কেমন করে কাশফুল দেখলে।“

মা দুর্গার কাছে পুজোয় কোন তিনটি বর চাইলেন মেহতাব? “প্রথম বর চাইব আমরা যেন মানুষের মতো মানুষ হয়ে থাকি। দ্বিতীয়ত, মানুষ হিসেবেই মৃত্যু হয় যেন। তৃতীয় বর চাইব, প্রলোভন ছেড়ে যেন মানুষের জন্য কাজ করি আমরা। খালি হাতে এসেছি আমরা, খালি হাতে যেতে হবে। গদির মোহ ছেড়ে রাজনীতিবিদদেরও তাই উচিত ভাল কাজ করা।“

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের অংশ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy