পুজোর সময়টা আমি সাধারণত কলকাতাতেই থাকার চেষ্টা করি। ভিড় ঠেলে ঠাকুর দেখা আমার যদিও একেবারেই না-পসন্দ। এখন যেমন পুজো নিয়ে অত্যধিক হুড়োহুড়ি, পাগলামি হয়, আমার ছোটবেলায় কিন্তু তেমনটা ছিল না।
এক অন্য রকমের আনন্দ ছিল তখন। আমার কাছে পুজোর আলাদা কোনও স্মৃতি নেই। ছোটবেলার পুজোর পুরোটাই আনন্দের। বাবা হাতখরচ দিতেন। আমি সবার শেষে গিয়ে নিজের টাকা খরচ করতাম। এখন আমার পুচকি রয়েছে। ও একটু করে বড় হচ্ছে, আর একটু করে পুজো সম্পর্কে ওর অনুভূতিগুলো বদলাচ্ছে। ওর প্রথম পুজোতে বাবার কাঁধে চেপে ভাসানে গিয়েছিল। দ্বিতীয় বছর রাস্তাতেই তার সে কী নাচ! এ বার ওর তিন বছর। এই বছর কী করে দেখি।
আরও পড়ুন: পুজো কাটবে খুব টেনশনে: অনির্বাণ
আরও পড়ুন: রাজের সঙ্গে আলাদা করে পুজো কাটানোর প্ল্যান নেই: শুভশ্রী
ছোটবেলায় সেই পুজোর সময় আড়চোখে তাকানো-টাকানো চলত। মনে মনে একটা এক্সপেক্টেশনও থাকত। কিন্তু পুজোতেই প্রেম হয়েছে এমনটা মনে পড়ে না। আমার আসলে ওই বার বার প্রেমিক পাল্টাব, এমনটা একেবারেই ভাল লাগে না। আমার ওই এক বার প্রেম মানে অনেক বছর চলবে টাইপ। তবে ওই অষ্টমীর সকালে হালকা তাকানো, ওগুলো ওই ছোটবেলায় চলেনি যে তা নয়। তবে ছোটবেলার মতো সেই দলবেঁধে ফুচকা খাওয়া, ঘুরে বেড়ানো, এগুলো আর এখন হয় না। পুরনো জীবনটা যে ভীষণ মিস করি এমনটা নয়। কারণ দিনের শেষে আমার পরিচয় আমি অভিনেত্রী।
রাস্তাঘাটে লোকে যদি দেখে চিনতেই না পারে তা হলে আর আমার অভিনেত্রী হিসেবে কী সার্থকতা? যে দিন রাস্তায় দেখে লোকে চেনা বন্ধ করে দেবে সে দিনই হতাশা গ্রাস করবে আমাকে। তবে ওই ঘাড়ের উপর উঠে এসে সেলফির বাড়াবাড়িটা আমার বেশ বিরক্ত লাগে। আর পুজোর কেনাকাটা বলে আলাদা কিছু হয় না এখন আর। সাড়া বছরই নতুন কিছু পরতে হয়। সেই চার্মটাই চলে গিয়েছে। গোটা বছর এত সাজতে হয়, তাই পুজোর ক’দিন আমার ছিমছামই পছন্দ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy