ছবি- সংগৃহীত
ভাইফোঁটা আমার কাছে খুব স্পেশ্যাল। যেখানেই থাকি, বোনের কাছ থেকে ফোঁটা আমি নেবই! ঠাকুমা মারা গিয়েছেন, তাই এ বছর বড় করে কিছু হচ্ছে না। তবে ভাইফোঁটার দিনে কোনও প্ল্যান থাকবে না, তা তো হয় না। আমার বোনের ইচ্ছা মতোই সারা দিন সাজানো থাকে। ও-ই ঠিক করে সব কিছু, আমি শুধু ওর প্ল্যান মতো চলি। সকালে আমার একটাই কাজ, একটু ওয়ার্কআউট করব। তার পরে আর কোনও কাজ রাখিনি। এ বছর লাঞ্চ কোথায় করব, এখনও জানি না। বাড়িতে না হলে বোনের পছন্দ মতো কোনও রেস্তরাঁয় যাব। বাড়ির সবাইকে নিয়ে সিনেমা দেখারও ইচ্ছে আছে।
আমার বোন খেতে খুব ভালবাসে। ওর চাওয়াগুলো খুব ছোট ছোট। আইসক্রিম, ফুচকা- এগুলোই থাকে ওর বায়নার লিস্টে। খুচরো দাবি থাকে কিছু। আগামী কাল দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত সময় রেখেছি ওর সেই আবদারগুলো মেটাব বলে। আগে থেকে কোনও উপহার কিনে রাখি না। বোনকে সঙ্গে নিয়েই ওর পছন্দ মতো উপহার কিনে দিই। তবে বোন আমাকে অনেক বেশি গিফট দেয়। প্রতি বার গিফটগুলো যখন খুলি, মনে হয়- আরে, এগুলোই তো আমার দরকার ছিল! আমার কী প্রয়োজন, সব কিছুই ওর খেয়াল থাকে। যত দিন যাচ্ছে, ও আমার বোন নয়, মা হয়ে উঠছে।
প্রতি বছর ভাইফোঁটার দিনটার জন্য অপেক্ষা করে থাকি। বোন যেমন আমার ভালর জন্য প্রার্থনা করে , আমিও বোনের জন্য একটাই প্রার্থনা করি, ও যেন সারা জীবন সুখে-শান্তিতে থাকে, ভাল থাকে। এর বেশি আর কিচ্ছু চাই না আমি।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy