রুশ দৈনিকে ছিনতাই-তত্ত্ব, ফের সঙ্কেত সাগর থেকে

ফের শব্দসঙ্কেতের খোঁজ পেল অস্ট্রেলীয় নৌবাহিনীর বিমান। তদন্তকারী দলের প্রধান অ্যাঙ্গাস হিউস্টন জানিয়েছেন, গত শনিবার এবং মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরের যে এলাকা থেকে চারটি শব্দসঙ্কেত মিলেছিল, এ দিনও সেই এলাকা থেকেই শব্দসঙ্কেতের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এক রুশ দৈনিকের অবশ্য দাবি ভারত মহাসাগর নয়, এমএইচ-৩৭০ ছিনতাই করে আফগানিস্তানের কন্দহর-সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় নামিয়েছে জঙ্গিরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পারথ শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:১৪
Share:

ফের শব্দসঙ্কেতের খোঁজ পেল অস্ট্রেলীয় নৌবাহিনীর বিমান। তদন্তকারী দলের প্রধান অ্যাঙ্গাস হিউস্টন জানিয়েছেন, গত শনিবার এবং মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরের যে এলাকা থেকে চারটি শব্দসঙ্কেত মিলেছিল, এ দিনও সেই এলাকা থেকেই শব্দসঙ্কেতের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এক রুশ দৈনিকের অবশ্য দাবি ভারত মহাসাগর নয়, এমএইচ-৩৭০ ছিনতাই করে আফগানিস্তানের কন্দহর-সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় নামিয়েছে জঙ্গিরা।

Advertisement

তবে বিশেষজ্ঞদের বেশির ভাগই আপাতত এই ছিনতাই-তত্ত্বে ভরসা রাখছেন না। তাঁদের ধারণা, ভারত মহাসাগরেই কোথাও তলিয়ে গিয়েছে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমানটি। বৃহস্পতিবারের পর সে ধারণা আরও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠছে। অ্যাঙ্গাস জানিয়েছেন, এ দিন পারথ থেকে ২২৮০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভারত মহাসাগরের একটি অংশ থেকে শব্দসঙ্কেত শুনতে পায় অস্ট্রেলীয় নৌবাহিনীর বিমান। গত শনিবার এবং মঙ্গলবার ওই এলাকা থেকে চারটি শব্দসঙ্কেতের খোঁজ পেয়েছিল ‘ব্ল্যাক বক্স লোকেটর’ প্রযুক্তিসম্পন্ন জাহাজ ‘ওশেন শিল্ড’। তদন্তকারীদের একাংশের ধারণা, সামুদ্রিক প্রাণী বা সমুদ্রের গভীরে প্রাকৃতিক কোনও উৎস নয়, ওই চারটি শব্দসঙ্কেত আসলে কোনও যন্ত্র থেকেই নির্গত। এবং সম্ভবত সেই যন্ত্রটি হল বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআরের ব্ল্যাক বক্স।

তা নিশ্চিত করতেই এ দিন তল্লাশি চলে ওই এলাকায়। সে সময়ই ধরা পড়ে পঞ্চম শব্দসঙ্কেতটি। সব মিলিয়ে অ্যাঙ্গাসের স্থির বিশ্বাস, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই হয়তো ইতিবাচক কিছু তথ্য জানতে পারা যাবে। তবে ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হতে আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে বলেও জানিয়ে দেন অ্যাঙ্গাস। আপাতত তল্লাশি এলাকা কমিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।

Advertisement

অন্য দিকে, দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এক রুশ দৈনিক জানিয়েছে, পাইলট বা কো-পাইলট নন, ‘হিচ’ নামে কোনও এক জঙ্গি বিমানটির ছিনতাইয়ের নেপথ্যে। সেটিকে কন্দহর-সংলগ্ন কোনও পাহাড়ি এলাকায় নামিয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিদের দল। অবতরণের সময় বিমানটির একটি ডানা ভেঙে যায় বলেও দাবি ওই রুশ দৈনিকের। তবে যাত্রীদের কিছু হয়নি। শুধু তাঁদের মধ্যে ২০ জন ‘বিশেষজ্ঞকে’ পাকিস্তানের একটি বাঙ্কারে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কেন এই ছিনতাই তা নিয়ে কিছু বলেনি সংবাদপত্রটি।

এই দাবি নিয়ে অবশ্য সংশয় রয়েছে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মধ্যে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement