(বাঁ দিকে) ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন, অভিষেক বচ্চন (ডান দিকে)। ছবি: ফেসবুক।
সকাল হলে বলি টাউনে ফিসফাস, এই বুঝি ভাঙল। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলে অন্য কথা, আজ টিকে গেল। কাল কী হবে? এ ভাবেই সকাল থেকে রাত হয়ে পরের দিন সকাল অভিষেক বচ্চন- ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের বিয়ে ভাঙার খবরে তোলপাড় বিনোদন দুনিয়া। ‘দশভি পাস’ ছবিতে নিমরত কৌরের সঙ্গে পর্দা ভাগ করার সুবাদে ছোটা বি পরকীয়ার কাঠগড়ায়। যাবতীয় সহানুভূতি বচ্চন বধূকে ঘিরে। তার মধ্যেই পরিচালক-অভিনেতা নিখিল দ্বিবেদীর বড় ঘোষণা, ‘‘অভি-অ্যাশ আলাদা হতেই পারেন না!’’
কিসের জোরে তারকা দম্পতির হয়ে এত বড় কথা বললেন নিখিল?
তাঁর কথার প্রেক্ষিতে এই প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিকেরা। তাঁদের উত্তর দিতে গিয়ে পরিচালক-অভিনেতা সামনে এনেছেন তাঁর অতীত অভিজ্ঞতা। স্মৃতি হাতড়ে উদাহরণ তুলে ধরেছেন, বিয়ের পরে তারকা দম্পতির একসঙ্গে কাটানোর নানা ঘটনা। নিখিলের দাবি, কাজ করার সুবাদে দু'জনকে তিনি কাছ থেকে দেখেছেন। তাঁর সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আজীবন এঁরা একে অন্যের হয়েই কাটাবেন।
পরিচালক আরও জানিয়েছেন, যখন অভি-অ্যাশ একসঙ্গে এক ছবিতে অভিনয় করতেন তখন সারা ক্ষণ একসঙ্গে থাকতেন। কাজের ফাঁকে আড্ডা, খুনসুটিতেই মেতে থাকতেন। কখনও মুখভার করে পরস্পরের থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতেন না। এবং তাঁদের সেই একসঙ্গে কাটানো মুহূর্ত সাক্ষী, উভয়েই উভয়কে মন থেকে ভালবেসেই থাকেন, লোকদেখানো নয়।
এই জায়গা থেকেই নিখিলের দাবি, নিন্দকেরা যা খুশি রটান, তিনি মানেন না। তাঁর বিশ্বাস, সময়ে তিনিই সত্যি, প্রমাণিত হবেন। শোনা যাচ্ছে খুব শিগগিরিই নাকি ফের জুটি বেঁধে পর্দায় আসতে চলেছেন অভি-অ্যাশ। এক সেটে একসঙ্গে কাজের সূত্রেই কি অবশেষে চর্চিত দূরত্ব মুছবে? বলিউড আপাতত সব সম্ভাবনা সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়েছে।