জঙ্গি হানার হুমকি, টুইট-ঠাট্টায় ঘোর বিড়ম্বনায় কিশোরী

বয়স সবে চোদ্দো। পড়াশোনা আর খেলার দুনিয়া ছেড়ে এক ফাঁকে আমেরিকান এয়ারলাইন্সকে টুইট করেছিল ওলন্দাজ মেয়েটি। আর ছোট্ট একটা টুইটের জেরেই দুনিয়ার তাবত সংবাদমাধ্যমের নজর এখন তার দিকে। সম্প্রতি হুমকি টুইটে ওই কিশোরী লিখেছিল, “আমি ইব্রাহিম। আফগানিস্তানের বাসিন্দা। আল-কায়দার সঙ্গে যুক্ত। জুনের পয়লা তারিখ একটা বিশাল কিছু ঘটাতে চলেছি আমি।” ঠিক ছ’মিনিটের মাথায় জবাব আসে টুইটারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রটারডাম শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ০১:০৬
Share:

বয়স সবে চোদ্দো। পড়াশোনা আর খেলার দুনিয়া ছেড়ে এক ফাঁকে আমেরিকান এয়ারলাইন্সকে টুইট করেছিল ওলন্দাজ মেয়েটি। আর ছোট্ট একটা টুইটের জেরেই দুনিয়ার তাবত সংবাদমাধ্যমের নজর এখন তার দিকে।

Advertisement

সম্প্রতি হুমকি টুইটে ওই কিশোরী লিখেছিল, “আমি ইব্রাহিম। আফগানিস্তানের বাসিন্দা। আল-কায়দার সঙ্গে যুক্ত। জুনের পয়লা তারিখ একটা বিশাল কিছু ঘটাতে চলেছি আমি।” ঠিক ছ’মিনিটের মাথায় জবাব আসে টুইটারে। বিষয়টিকে যে তারা কোনও মতেই হাল্কা ভাবে নিচ্ছে না, প্রথম বারেই স্পষ্ট জানিয়ে দেয় মার্কিন বিমানসংস্থাটি। তার কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেস যে এফবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, বলা হয় সে কথাও।

পরিস্থিতি যে ভাল দিকে গড়াচ্ছে না, বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষমা চেয়ে নেয় ওই তরুণী। প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা করে, মজা করতেই সে এমন কাজ করেছে। তাতেও ও তরফের মনোভাব বদলাচ্ছে না দেখে বলতে থাকে, তার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে কেউ এমনটা করে থাকবে। সে এ রকম হুমকি দিতেই পারে না। চাপের মুখে শেষমেশ একটা সময় বলেই বসে, “বাবা-মা কিচ্ছু জানে না। এক বার কানে গেলে আমায় মেরেই ফেলবে।”

Advertisement

শত আবেদন নিবেদনেও অবশ্য শেষ পর্যন্ত চিঁড়ে ভেজেনি। স্থানীয় রটারডাম থানা থেকে পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায় তাকে। সোমবার ছেড়ে দেওয়া হলেও রীতিমতো নজর রাখা হচ্ছে তার উপর। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর নাম সারা। তার বিরুদ্ধে কড়া চার্জ আনা হতে পারে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।

মার্কিন বিমানসংস্থা আর সারার কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় চাউর হওয়ার পরই রাতারাতি শিরোনামে চলে আসে বছর চোদ্দোর ওই কিশোরী। ফলোয়ারের সংখ্যা এক লাফে এতটাই বেড়ে যায় যে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টটাই নিলামে ওঠানোর ভাবনাচিন্তা শুরু করে দেয় সে। কম করে ৫০০ ডলার দিলেই অ্যাকাউন্টটা দিয়ে দেবে, ঠিক করে ফেলে সারা। তবে তার এই পরিকল্পনাও সফল হয়নি। মাঝ পথেই বন্ধ করে দেওয়া হয় তার সেই অ্যাকাউন্ট।

চোদ্দোয় পা দেওয়া এক কিশোরীর এ হেন ‘মজা’য় কিন্তু আশঙ্কার মেঘ দেখছেন অনেকেই। ছোট ছোট হাতের মুঠোয় এখন হরেক রকম প্রযুক্তির কারিকুরি। এ সবের প্রতি অপরিণত মনে টান থেকেই অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে না তো, প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। বিরুদ্ধ মতও অবশ্য আছে। “ওই তো একটা চোদ্দো বছরের বাচ্চা। তার টুইট নিয়ে এত তোলপাড় পুলিশি বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছুই নয়” টুইট করেছেন এক ব্যক্তি।

বিতর্ক যা-ই থাকুক না কেন, ‘মজা’র মাসুল কিন্তু দিতে হচ্ছে সারাকেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement