চলছে দেহ উদ্ধারের কাজ। ছবি: এপি।
এক সপ্তাহ হতে চলল দুর্ঘটনার। বিশেষজ্ঞদের কাছে এখনও পরিষ্কার নয় এয়ার এশিয়া বিমানটির নিখোঁজ হওয়ার কারণ। তবে তারই মধ্যে জাভা সাগরের তলায় খোঁজ মিলল বড় বড় চারটি ধাতব অংশের। তার মধ্যে সব থেকে বড় অংশটি লম্বায় প্রায় ১৮ মিটার। উদ্ধারকারীদের অনুমান, ওই টুকরোগুলি নিখোঁজ বিমানের অংশ।
গত ছ’দিন ধরে নব্বইটিরও বেশি জাহাজ এবং নজরদারি বিমান দিনভর চক্কর কেটে চলেছে বোর্নিওর কাছে জাভা সাগরে। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ায় বারবার বিঘ্নিত হচ্ছে তল্লাশি। শনিবার ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির সদস্যরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৩০টি দেহ জল থেকে তুলতে পেরেছেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে শনাক্ত করা গিয়েছে অন্তত ৪ জনকে। উদ্ধার হওয়ার অনেক দেহে সিট বেল্ট বাঁধা। তবে উদ্ধারকারীদের অনুমান, খুব শীঘ্রই বিমানের ব্ল্যাক বক্সেরও সন্ধান পাওয়া যাবে।
ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির ডিরেক্টর জানিয়েছেন, শুক্রবার গভীর রাতে জাভা সাগরের প্রায় ৩০ মিটার নীচে ফাঙ্গকালান বান এলাকায় ওই ধাতব অংশগুলির খোঁজ মিলেছে। এবং প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, সেগুলি নিখোঁজ এয়ার বাস এ৩২০-এরই অংশ। তিনি আরও জানিয়েছেন, এখনও অনেক যাত্রীই হয়তো সমুদ্রের তলায় বিমানের মধ্যে আটকে আছেন। কিন্তু মনে করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে উদ্ধারের কাজ শেষ হবে।
অন্য দিকে, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর সূত্রে খবর, রবিবারও ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুরগামী এয়ার এশিয়ার সব ক’টি উড়ান সময় মতো চলবে। তবে বিমানবন্দরের তরফে আগে জানানো হয়েছিল, রবিবার ইন্দোনেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরগামী বিমানগুলি বাতিল করা হয়েছে।
বিমান বাতিলের এই সিদ্ধান্তের কারণ কী?
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অভিযোগ উঠেছিল, সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুরের রুটে শুধু সোমবার, মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার এবং শনিবার বিমান যাতায়াতের অনুমতিপত্র ছিল এয়ার এশিয়ার কাছে। গত রবিবার সকালে ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে এয়ার এশিয়ার বিমানটি। এর পরেই শুরু হয় জল্পনা। উপযুক্ত অনুমতি ছাড়া রবিবার এয়ার এশিয়া তাদের এয়ার বাস এ৩২০ নিয়ে কী করে সিঙ্গাপুর রওনা দিয়েছিল।
তবে তদন্তের পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২৮ মার্চ পর্যন্ত প্রতি দিন ওই রুটে যাতায়াতে অনুমতিপত্র রয়েছে এয়ার এশিয়ার কাছে।