আলেকজান্দারের নিজস্বী। ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে
নিজস্বী-পাগল এক রুশ অফিসার ও তাঁর কিছু ছবি। তাতেই নতুন ভাবে ফিরে এল পুরনো বিতর্ক। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি বুক মিসাইল লঞ্চারে কাজ করছেন ওই অফিসার। ছবিটি ইন্সটাগ্রামে আপলোড করেন তিনি। জানা যায়, ইউক্রেনের রুশপন্থী জঙ্গি অধ্যুষিত এলাকায় তোলা হয় সেটি। তা হলে কি রুশপন্থী জঙ্গিদের এলাকায় রাশিয়ার সেনাবাহিনীর নিত্য উপস্থিতির যে দাবি উঠছিল তা সত্যি?
তবে আরও বড় প্রশ্ন, ছবিতে যে বুক মিসাইল লঞ্চার দেখা যাচ্ছে, সেটি থেকেই কি এমএইচ-১৭ লক্ষ করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়? স্পষ্ট প্রমাণ নেই। কিন্তু ইউক্রেন সরকারের কারও কারও ধারণা, রুশপন্থী জঙ্গিদের এলাকায় রাশিয়ার সেনাবাহিনী অস্ত্র-সরঞ্জাম সমেত যে প্রায়ই যাতায়াত করে, তার জোরদার প্রমাণ এই ছবি। এক ব্রিটিশ দৈনিকের দাবি, আলেকজান্দার সোতকিন নামে ওই রুশ অফিসার সম্প্রতি ইন্সটাগ্রামে কিছু নিজস্বী দেন। একটিতে তিনি বুক মিসাইল লঞ্চারে বসে রয়েছেন। ছবিটি ৩ জুলাইয়ের। কিছু দিনের মধ্যেই একই রকম আরও একটি নিজস্বী আপলোড করেন তিনি। ওই দৈনিকের দাবি, ইন্সটাগ্রাম থেকে জানা গিয়েছে দ্বিতীয় নিজস্বটি ইউক্রেনের রুশপন্থী জঙ্গি-অধ্যুষিত একটি গ্রামে তোলা। এমনকী আলেকজান্দার নিজেও ওই সাইটে লেখেন, “বুক মিসাইল লঞ্চারে কাজ করছি, আর গান শুনছি।” এর পর যে ছবিটি আপলোড করেন তিনি, সেটি কিন্তু রাশিয়ার সীমান্তে তোলা। ওই দৈনিকের দাবি, ইউক্রেনে কাজ সেরে রাশিয়ায় ফিরে যান তিনি।
আজ বহু চেষ্টার পর দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন তদন্তকারীরা। ইউক্রেন সেনাবাহিনী ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। তবে অভিযোগ, সংঘর্ষবিরতি না মেনে আজও রকেট ছুড়েছে রুশপন্থী জঙ্গিরা। এমএইচ-১৭ কাণ্ডে নিহতদের দেহ ফেরত আনা নিয়ে আলোচনা সারতে নেদারল্যান্ডসে গিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নজিব রাজাক।