সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস। ইংল্যান্ডের হোয়াইটহাভেন শহরে। ছবি:এ পি
ফিরে আসছে এক বছর আগের স্মৃতি। গত বছর বর্ষশেষের সময় ভয়ঙ্কর ঝড়-বৃষ্টি-বন্যায় বিধ্বস্ত হয়েছিল ব্রিটেনের উপকূলভাগের একটা বড় অংশ। কিছুটা আগে হলেও এই বছরও প্রায় একই অবস্থা ব্রিটেনের। ‘ওয়েদার বম্ব’-এর দাপটে বিপর্যস্ত ব্রিটেনের উপকূলভাগের বিস্তীর্ণ এলাকা।
গত সপ্তাহ থেকেই এই ‘ওয়েদার বম্ব’ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছিলেন আবহাওয়াবিদেরা। ‘ওয়েদার বম্ব’ আসলে একটি নিম্নচাপ। অতলান্তিকে মহাসাগরে তৈরি হওয়া ওই অতিকায় নিম্নচাপই ঘুম কেড়েছে ব্রিটেনের অধিকাংশ মানুষের। সব চেয়ে খারাপ অবস্থা স্কটল্যান্ডের। সেখানে প্রায় সতেরো হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। আশি কিলোমিটার বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সেই সঙ্গে প্রবল বৃষ্টির জেরে স্কটল্যান্ডের বেশির ভাগ মানুষই এখন ঘরবন্দি। আগামী কয়েক দিনের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনাও রয়েছে। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, প্রায় ৪৫ ফুট উঁচুতে উঠতে পারে ঢেউ। খুব প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরোতে বারণ করা হচ্ছে উপকূলের বাসিন্দাদের। উপকূলবর্তী এলাকায় ফেরি পরিষেবাও আপাতত বন্ধ। ওই সব এলাকায় বন্যার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহবিদরা। স্কটল্যান্ডের সঙ্গে উত্তর ইংল্যান্ডের জন্যও জারি হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটেনের বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয়েছে তুষারপাত। আবেরডিনশায়ারে বরফে জমে অচল প্রায় কুড়িটি গাড়ি।
ঝড়ের আশঙ্কায় দিন গুনছে আমেরিকার একটি বড় অংশও। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় আছড়ে পড়তে চলেছে বিশাল ঝড়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে এত বড় ঝড় দেখেনি আমেরিকা। আমেরিকার উত্তরে ব্যাপক বৃষ্টির আশঙ্কা। পশ্চিম ওয়াশিংটন থেকে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়া পর্যন্ত বন্যার সতর্কতা জারি হয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করা হচ্ছে সবাইকে।