অভিজিৎ খুনে ধৃত আরও ১

মুক্তচিন্তার লেখক অভিজিৎ রায়কে খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ‘আনসারুল্লা বাংলা টিম’ নামে একটি মৌলবাদী জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য আরও এক জনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কালই শফিউর রহমান ফারাবি নামে এক মৌলবাদীকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে আটক করা হয়েছিল। তাকে জেরা করেই দ্বিতীয় এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে এই ব্যক্তির নাম ও পরিচয় এখনও জানাচ্ছে না তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৫ ০৩:০৮
Share:

গানে-কবিতায় লেখক অভিজিত্‌ রায়ের হত্যার প্রতিবাদ জানাল শিলিগুড়ি। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির প্রধান ডাকঘরের সামনে গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল। সেই সভায় কেউ আবৃত্তি করলেন, ‘চিত্ত যেথা ভয় শূন্য’ কেউ বা জানালেন ফেসবুকে অভিজিতের নানা বিতর্কিত পোস্টের কথা। এ দিন বিকেল ৫টা থেকে ঘণ্টাখানেক প্রতিবাদ সভা হয়। সঙ্ঘের তরফে জানানো হয়েছে, শহরের শিল্পী, বিশিষ্টজনেরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় যে কোনও ধরণের সাম্প্রদায়িক সঙ্কীর্ণতা এবং ধর্মীয় সন্ত্রাসের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

মুক্তচিন্তার লেখক অভিজিৎ রায়কে খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ‘আনসারুল্লা বাংলা টিম’ নামে একটি মৌলবাদী জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য আরও এক জনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কালই শফিউর রহমান ফারাবি নামে এক মৌলবাদীকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে আটক করা হয়েছিল। তাকে জেরা করেই দ্বিতীয় এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে এই ব্যক্তির নাম ও পরিচয় এখনও জানাচ্ছে না তারা।

Advertisement

ফেসবুকে অভিজিৎ-সহ মুক্তচিন্তার সব মানুষকে ধর্মবিরোধী তকমা দিয়ে খুনের হুমকি দেওয়া ফরাবিকে আজ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম উদ্যোক্তা রাজীব আহমেদকে ঢাকায় তার বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সে সময়েও এই ফারাবিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর, অভিজিৎ খুনে ফারাবি জড়িত কি না, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। এর আগে রাজীবের খুনের আসামিদেরও নির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। আনসারুল্লা বাংলাদেশ নামে ফেসবুক ও ট্যুইটারে অ্যাকাউন্ট চালিয়ে আসা লোকেরা কারা, সে বিষয়ে পুলিশ এখনও অন্ধকারে।

Advertisement

পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কয়েক বছর বসবাসের কারণে অভিজিৎ মার্কিন নাগরিকত্বও পেয়েছিলেন। সে কারণে আমেরিকায় তাঁর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনমত বাড়ছে।

মার্কিন প্রশাসন আগেই লেখক অভিজিৎ খুনের প্রতিবাদ জানিয়ে তদন্তে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অভিজিতের পরিবারের আর্জি মেনে বাংলাদেশ সরকার তদন্তে এফবিআইয়ের সাহায্য নেওয়ার কথাও জানিয়েছে। তার পরেও আজ মার্কিন কংগ্রেসের সরকার ও বিরোধী দলের ছয় সদস্য বিদেশসচিব জন কেরির কাছে আর্জি জানিয়েছেন, যাতে অভিজিতের খুনিদের ধরার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপরে যে ভাবে আঘাত হানা হয়েছে তার সঙ্গে কোনও ভাবে আপস করা যায় না।

অভিজিৎ রায়ের খুনের ঘটনার নিন্দা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মঙ্গলবার রবীন্দ্রসদনে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “লেখক-শিল্পীদের স্বাধীনতা আছে। বাংলাদেশে যিনি খুন হয়েছেন, তিনি এক জন লেখক। মর্মান্তিক ঘটনা। যাঁরা তাঁকে খুন করেছেন, তাঁদের আমি ধিক্কার জানাই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement