শাসকদল থেকে বহিষ্কৃত হলেও মুগাবে অবশ্য ক্ষমতা ছাড়তে এখনও নারাজ। ছবি:এএফপি।
আরও চাপে জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। শাসক দল জিম্বাবোয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন-প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট-এর (জানু-পিএফ) শীর্ষ পদ থেকে মুগাবেকে সরিয়ে দেওয়া হল। শুধু শীর্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নয়, রবার্ট মুগাবেকে জানু-পিএফ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও দলের তরফে জানানো হয়েছে। কিছু দিন আগেই যাঁকে জিম্বাবোয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বরখাস্ত করেছিলেন প্রেসিডেন্ট মুগাবে, সেই এমারসন মানগাগওয়া জানু-পিএফ-এর নতুন নেতা নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মুগাবেকে চাই না, স্লোগানে ভাসল হারারে
রবিবার জিম্বাবোয়ের রাজধানী হারারেতে বিশেষ বৈঠকে বসেছিল শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই বৈঠকেই মুগাবেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কার করা হয়েছে মুগাবের স্ত্রী গ্রেস মুগাবেকেও, যিনি জিম্বাবোয়ের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে ছিলেন।
রবার্ট মুগাবে এখনও জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন ঠিকই। কিন্তু শাসন ক্ষমতা আপাতত তাঁর হাতছাড়া। সামরিক বাহিনী সরকারের দখল নিয়েছে। ১৯৮০ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে জিম্বাবোয়ে মুক্ত হয়। সেই থেকে একটানা দেশের ক্ষমতায় মুগাবে। প্রথমে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮৭ সালে প্রেসিডেন্ট হন। ৩০ বছর কাটিয়ে ২০১৭ সালেও তিনিই প্রেসিডেন্ট পদে।
আরও পড়ুন: জিম্বাবোয়েতে সেনা অভ্যুত্থানের পিছনেও কি চিনের হাত?
প্রেসিডেন্ট পদ থেকে মুগাবেকে সরানোর দাবি দীর্ঘ দিন ধরেই উঠছিল। কিন্তু শাসক দল এবং প্রশাসনের উপর কর্তৃত্বের রাশ এতটাই কঠোর হাতে ধরে রেখেছিলেন তিনি যে, তাঁর অপসারণ প্রায় অসম্ভব ছিল। সেনাবাহিনী অঘোষিত অভ্যুত্থান ঘটিয়ে প্রশাসনের দখল নেওয়ায় মুগাবের কর্তৃত্ব দুর্বল হয়েছে। জানু-পিএফ থেকে মুগাবেকে বহিষ্কার করতে তাই আর সময় লাগেনি। মুগাবে অবশ্য ক্ষমতা ছাড়তে এখনও নারাজ। কিন্তু শাসক দলের তরফে প্রভাবশালী নেতা ক্রিস মুটসভাঙ্গওয়ার হুঁশিয়ারি, মুগাবে পদত্যাগ না করলে জনগণকে রাস্তায় নামানো হবে। তার পর জনগণই যা করা করবেন