জো বাইডেন। —ফাইল চিত্র
আবার বক্তব্য-বিভ্রাট। আবারও সেই জো বাইডেন। এ বার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে গুলিয়ে ফেললেন আমেরিকার অশীতিপর এই প্রেসিডেন্ট। শুধু তা-ই নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্টও বানিয়ে বসলেন। স্বভাবতই বাইডেনের শারীরিক সক্ষমতা, বয়স নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। ট্রাম্পের সঙ্গে টিভি বিতর্কে শোচনীয় ‘পারফরম্যান্সের’ পরই বাইডেন ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
আমেরিকায় নেটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে বৈঠক চলছে। বৃহস্পতিবার সেই বৈঠকেই বক্তব্য রাখতে ওঠেন বাইডেন। তাঁর পরের বক্তা ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। বাইডেনকে বলতে শোনা যায়, “আমি এ বার মঞ্চ ছেড়ে দিতে চাই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে। যাঁর আছে সাহস, আছে কিছু করে দেখানোর ইচ্ছা। আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে স্বাগত জানাচ্ছি।” নেটোর বৈঠকে পুতিন এলেন কোথা থেকে, তা ভেবেই হতচকিত হয়ে যান বৈঠকে উপস্থিত অতিথিরা। অপ্রস্তুত দেখায় জেলেনস্কিকেও। ভুল হয়েছে বুঝতে পেরে তা সংশোধন করে নেন বাইডেন। বলেন, “জেলেনস্কি পুতিনকে হারাবেন।”
তার পরেও বাইডেন আরও এক বার মুখ ফস্কান। ওই বৈঠকেই। বলেন, “দেখুন, আমি ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করতামই না, যদি তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য না হতেন।” বাইডেন যখন এই মন্তব্য করছেন, তখন দর্শকাসনে বসে আমেরিকার শীর্ষ পদাধিকারীরা। অনেকেই মনে করছেন, দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে গুলিয়েছেন বাইডেন।
এই সুযোগে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “খুব ভাল কাজ, জো!” সম্প্রতি ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম নির্বাচনী বিতর্কে নেমেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সে দিন বাইডেনের কাঁপা-কাঁপা গলা, বক্তব্যের খেই হারিয়ে ফেলা নিয়ে চর্চা শুরু হয় ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেই। এমনকি প্রার্থী বদল করার প্রস্তাবও আসে। তবে বাইডেন জানান, তিনি শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। তিনি নির্বাচনে লড়বেন এবং ট্রাম্পকে হারাবেন।