ফাইল ছবি
ইউক্রেন-রাশিয়ার সম্মুখসমর ও বাগযুদ্ধ, দুই-ই অব্যাহত। যুদ্ধের গোড়াতেই দক্ষিণ ইউক্রেনের জ়াপুরিয়াজ়িয়ার পরমাণু কেন্দ্রটি দখল করে নেয় রাশিয়া। এর পর থেকে এটি মস্কোর নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। ইউক্রেনের অভিযোগ পরমাণু কেন্দ্রে যুদ্ধাস্ত্র মজুত করে রেখেছে রাশিয়া। গত কাল হামলা চলেছে সংলগ্ন এলাকায়। রাশিয়ার পাল্টা অভিযোগ, পরমাণু চুল্লিটিকে নিশানা করছে ইউক্রেন। গত কালের হামলার দায় নিতে অস্বীকার করেছে মস্কো। তাদের বক্তব্য, ‘‘জ়াপুরিজ়িয়া পরমাণু শক্তি কেন্দ্র ও এনারগোদার শহরে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী তিনটি হামলা চালিয়েছে।’’
ইউরোপের সর্ববৃহৎ পরমাণু কেন্দ্র জ়াপুরিয়াজ়িয়া। এখানে হামলা হলে বড় বিপর্যয় হতে পারে বলে বারবার দুই দেশকেই সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও একাধিক বার হামলা চলেছে এই এলাকায়। জ়াপুরিজ়িয়া পরমাণু কেন্দ্রের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ইউক্রেনের সরকারি পোষিত সংস্থা এনারগোয়াটম। তারা জানিয়েছে, ‘‘গত কাল তিনটি হামলা চলেছে এই এলাকায়। একেবারে চুল্লির কাছাকাছি বোমা পড়েছে।’’ এনারগোয়াটম জানিয়েছে, এ ভাবে হামলা চললে যে কোনও সময় হাইড্রোজেন চুঁইয়ে বেরোতে শুরু করবে। তেজস্ক্রিয় পদার্থও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাতে আগুন ধরে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
এনারগোয়াটমের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, রুশ পরমাণু নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোসাটমের কর্মীরা হামলার ঠিক আগের মুহূর্তে এলাকা ছেড়ে পালায়। একটি পাওয়ার কেবলের ক্ষতি হয়েছে। একটি চুল্লি বন্ধ করে দিতে হয়েছে হামলার পরে।
কৃষ্ণসাগর ঘেঁষা রাশিয়ার সুচির রিসর্টে দেখা করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ান। কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্যবাহী জাহাজ যাওয়ার চুক্তি করতে রাশিয়া-ইউক্রেনকে সাহায্য করেছে তুরস্ক। এ জন্য এর্ডোয়ানকে ধন্যবাদ জানাতে চান পুতিন। ইউক্রেন জানিয়েছে রবিবার, অর্থাৎ আগামিকাল ওডেসা থেকে ছাড়া প্রথম জাহাজটি লেবানন পৌঁছবে। আরও তিনটি জাহাজ তৈরি রয়েছে। সেগুলি যাবে তুরস্ক, আয়ারল্যান্ড ও ব্রিটেনে। রাশিয়া তুরস্ককে ধন্যবাদ জানালেও চুক্তি হওয়ার পরের দিনেই ইউক্রেনের সমুদ্র বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হানা চালায় তারা। যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে গোটা পূর্ব ইউক্রেনেই। আমেরিকা জানিয়েছে, তারা আরও ১০০ কোটি ডলার সাহায্য পাঠাবে ইউক্রেনে।