মার্কিন মুলুকে পৌঁছেই সন্ত্রাস নিয়ে সরব মোদী।
মার্কিন সফরের প্রথম দিনেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিয়েনার সভা থেকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সাফল্য তুলে ধরলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াইয়ের আহ্বান জানালেন সব দেশকে এবং সুকৌশলে তুলে ধরলেন ‘দুর্নীতিমুক্ত’ এনডিএ সরকারের কাজের খতিয়ান।
দু’দিনের মার্কিন সফরে রবিবারই ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা তাঁর। মোদী আমেরিকায় পৌঁছনোর আগেই টুইটারে তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন ট্রাম্প। প্রধানমন্ত্রীকে ‘সত্যিকারের বন্ধু’ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্পের টুইট, “এক সত্যিকারের বন্ধুর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’’ কৌশলগত সেই আলোচনায় অবধারিত ভাবেই সন্ত্রাস প্রসঙ্গ উঠবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই আলোচনার আগেই এ দিন সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে সুর চড়ালেন মোদী।
বিদেশে উষ্ণ অভ্যর্থনা প্রধানমন্ত্রীকে।
ভার্জিনিয়ার টাইসন কর্নারের সভায় মোদী বলেন, “২০ বছর আগে যখন ভারত সন্ত্রাস নিয়ে সোচ্চার ছিল, তখন বাকি বিশ্ব সেটাকে সাধারণ আইনি সমস্যা বলে মনে করত। আজ বিশ্ব বুঝতে পারছে সন্ত্রাসের আসল রূপ। সন্ত্রাসের দাঁত-নখ এখন এতটাই প্রকাশ্যে এসেছে যে, আমাদের আর আলাদা করে এর ক্ষতিকর দিক বোঝাতে হয় না।” এর পরেই সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে মুখ খুলে মোদী বলেন, “ভারতের সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে বিশ্বের কোনও দেশ প্রশ্ন তোলেনি। সেই সময় আমাদের ক্ষমতার পরিচয় পেয়েছিল গোটা বিশ্ব। আমরা বোঝাতে পেরেছিলাম, সংযম দেখালেও আক্রান্ত হলে পাল্টা আঘাত হানতে পিছপা হই না।” নাম না করে সন্ত্রাস প্রসঙ্গে পাকিস্তানেরও সমালোচনা করেন তিনি। সরকারের সাফল্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, গত তিন বছরে তাঁর সরকারের গায়ে কোনও দুর্নীতির ছোপ লাগেনি।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প-সাক্ষাতে দাউদ নিয়েও কথা চান মোদী
প্রধানমন্ত্রী এ দিন অ্যাপলের টিম কুক, গুগলের সুন্দর পিচাই, মাইক্রোসফটের সত্য নাদেল্লা, মাস্টারকার্ডের অজয় বাঙ্গার মতো ব্যক্তিত্বদের সঙ্গেও দেখা করেন।
ছবি: পিটিআই