ভাসমান শহর বললেই ভেনিসের ছবিটা সামনে ভেসে ওঠে। শহর নয়, তবে আধুনিকতা, স্বাচ্ছন্দ্য সব দিক থেকে ভেনিসকেও তাক লাগিয়ে দিতে পারে ব্রুনেইয়ের সমৃদ্ধশালী গ্রাম ক্যাম্পং আয়ের।
ব্রুনেই নদীর বুকে ৪০টি গ্রাম নিয়ে গড়ে উঠেছে ক্যাম্পং আয়ের। প্রায় ৩০ হাজার লোকের বাস। বেশির ভাগই মত্স্যজীবী। সরকারি আবাসনও রয়েছে।
ক্যাম্পং আয়ের-এর অর্থ হল ‘ওয়াটার ভিলেজ’।
বন্দর সেরি বেগওয়ানে অবস্থিত ক্যাম্পং আয়ের বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান গ্রাম। একে প্রাচ্যের ভেনিস-ও বলা হয়।
প্রায় ১ হাজার বছর আগে ব্রুনেই নদীর উপর নিজেদের বসতি গড়ে তুলেছিলেন বাজাউ উপজাতিরা। তার পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার বিস্তার ঘটেছে।
৩৮ কিলোমিটার জুড়ে কাঠ ও কংক্রিটের সেতু রয়েছে গোটা গ্রামে। এই সেতুর মাধ্যমেই এক গ্রাম থেকে আর এক গ্রামে হাঁটা পথে যাওয়া যায়।
ক্যাম্পং আয়ের নামেই গ্রাম, কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়া রয়েছে সর্বত্র। রয়েছে স্কুল, মসজিদ, রেস্তোরাঁ, পেট্রোল পাম্প, চিকিত্সাকেন্দ্র।
প্রতিটি ঘরে বিদ্যুত্ সংযোগ, স্বচ্ছ পানীয়জলের ব্যবস্থা রয়েছে ওয়াই-ফাই।
জলপথে এক গ্রাম থেকে আর এক গ্রামে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় স্পিডবোট।
ক্যাম্পং আয়েরে রয়েছে থানা, ফায়ার ব্রিগেডের মতো জরুরি পরিষেবাও। গ্রামের কোথাও আগুন লাগলে বা কোথাও অপরাধমূলক কাজ হলে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য স্পিডবোট ব্যবহার করে পুলিশ, দমকলবাহিনী।