মাদকের টাকা জোগাড়ে দেহ ব্যবসা! প্রতীকী ছবি।
কথায় আছে ‘ড্রাগের নেশা সর্বনাশা’! আর সেই নেশার খপ্পরে পড়েই এক তরুণী শেষ পর্যন্ত দেহ ব্যবসাতেও নাম লেখান। বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন আলেকজ়ান্দ্রা মোস নামে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ওই তরুণী।
বেশ ভালই দিন কাটছিল তাঁর। হঠাৎ কোকেনের নেশা করতে শুরু করেন। তার পর ক্রমে সেই নেশা আর কোকেনের চাহিদা বাড়তে থাকে তাঁর। নিজে মাদক নেওয়ার পাশাপাশি, মাদক ব্যবসাতেও জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি তিনি মাদক পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, আলেকজ়ান্দ্রার নেশা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, দিনে তিনি ১৫০০ ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা) নেশা করতেন। নেশা মেটাতে এই বিপুল পরিমাণ টাকা জোগাড়ের জন্য শেষমেশ নিজে মাদক ব্যবসায় নামেন। তিনি যে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন সেখান থেকেই ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। তবে বাড়ির মালিক আলেকজ়ান্দ্রার এই ব্যবসার বিষয়ে ঘুণাক্ষরেও আঁচ পাননি। তবে আলেকজ়ান্দ্রার বাড়িতে নিত্য দিন লোক যাতায়াত লেগেই থাকত। আর তা দেখেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। প্রায় দু’বছর ধরে মাদকের ব্যবসা করেন আলেকজ়ান্দ্রার। কিন্তু ব্যবসা করে যে টাকা আয় করতেন সেই টাকা তাঁর নেশা মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল না।
আলেকজ়ান্দ্রা পুলিশকে জানিয়েছেন, নেশার টাকা কী ভাবে জোগাড় করবেন, তা ভেবে পাগলের মতো অবস্থা হয়েছিল তাঁর। কিন্তু নেশা না করলে মৃত্যু হতে পারে, এই ভেবে শেষ পর্যন্ত টাকা জোগাড়ে দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য হন। বেশ কয়েক মাস এই ব্যবসা থেকে নেশার টাকা জোগাড় করতে থাকেন। মাদক বিক্রি এবং যৌনকর্মীর কাজ করে যে টাকা আয় হত, সেই টাকা দিয়ে নেশার দ্রব্য কিনতেন। পুলিশ জানিয়েছে, আলেকজ়ান্দ্রার ফোন থেকে মাদক-সহ বেশ কিছু ছবি পাওয়া গিয়েছে। আলেকজ়ান্দ্রাকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন তাঁর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়। আলেকজ়ান্দ্রা এই টাকা প্রসঙ্গে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন যে, তিনি যৌনপেশা থেকে এই টাকা রোজগার করেছেন। আর সেই টাকা শুধু নেশার দ্রব্য কেনার জন্যই খরচ করতে চান। আদালত আলেকজ়ান্দ্রাকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।