কিশোরকে যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত ৩১ বছরের তরুণী। প্রতীকী ছবি।
১৩ বছরের কিশোরকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৩১ বছরের তরুণীকে। অভিযোগ, জোর করে তিনি ওই কিশোরের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। তার পর কিশোরের সন্তানের জন্ম দেন। যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে তরুণীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হন কিশোরের মা। কিন্তু আদালত অভিযুক্ত তরুণীকে কারাবাসের নির্দেশ দেয়নি। তবে তাঁকে যৌন অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আমেরিকার কলোরাডো প্রদেশের ওই তরুণীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কিশোরের ভরসার সুযোগ নিয়ে তিনি তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন। ২০২২ সালে তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়। হাজতেই সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এর পর তরুণীর আইনজীবীর সঙ্গে প্রসিকিউটরের চুক্তি হয়, তরুণীকে হাজতবাস করতে হবে না। তবে যৌন অপরাধী হিসাবে তাঁর নাম নথিভুক্ত করা হবে। অভিযুক্ত তরুণী এই চুক্তি স্বীকার করে নিয়েছেন।
তবে নির্যাতিত কিশোরের মা এই ব্যবস্থায় খুশি হতে পারেননি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের কাছ থেকে শৈশব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ১৩ বছর বয়সে তাকে সন্তানের বাবা হতে হয়েছে। এই ভারের বোঝা তাকে সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে।
কিশোরের মা আরও জানান, এ ক্ষেত্রে যদি নির্যাতিতের লিঙ্গ আলাদা হত, ছেলে না হয়ে সে যদি মেয়ে হত, তবে শাস্তির পরিমাণ আরও বেশি হত। ছেলে বলেই এই যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে আপস করা হল বলে অভিযোগ তুলেছেন কিশোরের মা। গোটা বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
আমেরিকার আইন অনুযায়ী, নাবালকের যৌন হেনস্থার জন্য অভিযুক্ত তরুণীর ১০ বছর কিংবা তার বেশি জেল হতে পারে। কিন্তু চুক্তির ভিত্তিতে কারাবাস এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। কিশোরের অভিভাবক তাঁর বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদন জানাতে পারেন।