ব্রিটেনের ওয়েলসের একটা পুরনো গ্যারেজ। বোন মার্গারেটের বাড়ির এই গ্যারেজে ঢুকে লিন্ডা প্রিচার্ড নামে এক মহিলা দেখলেন অনেক পুরনো জিনিস। পেলেন একটা পুরনো হ্যান্ডব্যাগ।
লিন্ডা একেই চোখে কম দেখেন, ৬১ বছর বয়স তাঁর। বেরচ্ছিলেন চশমাটা ঠিক করতে। ব্যাগটা নিয়েই তিনি গেলেন তাঁর অপটিশিয়ানের কাছে। আর তারপরেই জানা গেল আসল ঘটনা।
ওই ব্যাগটি নাকি আসলে ১৫ ক্যারেট সোনার তৈরি। স্থানীয় এক অ্যান্টিক হাউসের তরফে ঐতিহাসিক জিনিসের মূল্য বিচার করেন যিনি, সেই জেন উইলিয়ামস বললেন, ব্যাগটি নিলামে তোলা হবে।
ব্যাগের ভিতরে ছিল বেশ কিছু ছবি ও নথি। জানা গিয়েছে, বহু পুরনো এই ব্যাগটি আসলে সেই সময়ের এক ধনী ডোরা জোনসের।
সোনার এই ব্যাগটি ১৯১৩ সালে আর্ট ডেকো ইমানুয়েল জোসেফের নকশা করা। লিন্ডার বোন মার্গারেটের পরিচিত জিয়েন জোনসের স্ত্রী হলেন ডোরা। তিনিই ব্যবহার করতেন এই ব্যাগ। জিয়েন ব্যাগটি ফেলে গিয়েছিলেন।
ওয়েলসের ডেনবিগের পুরনো গ্যারেজে সাত বছর ধরে পড়েছিল এই সোনার ব্যাগ।
ব্যাগে পুরনো নথির মধ্যে ছিল পাঁচের দশকের বেশ কিছু ছবি। সম্ভবত ওই সময় ব্যাগটি কিনেছিলেন ডোরা।
চামড়ার একটা বর্ডার দেওয়া রয়েছে ব্যাগটিতে। রয়্যাল ক্রুজের শিপ পেডিগ্রিও রয়েছে ব্যাগটির। তবে সেটির মূল চমক ব্যাগের মালকিন ডোরার প্রথম স্বামী ডেভিড আর্চিবাল্ডের সঙ্গে তাঁর ছবি।
ডোরার প্রথম স্বামী ডেভিডের এক দুর্ঘটনায় আকস্মিক মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যু সংবাদের খবরের কাগজের কাটিং ছিল ডোরার ব্যাগটিতে।
আরএমএস কুইন মেরি ও আরএমএস কুইন এলিজাবেথ এই দু’টি জাহাজে ডোরা তাঁর স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেই ভ্রমণের বেশ কিছু নথি ও ছবিও মিলেছে। জানা গিয়েছে, ডেভিডের দুর্ঘটনা ঘটেছিল স্টিয়ারিং হাতে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কারণেই।
ডোরা পরবর্তীতে বিয়ে করেন জিয়েন জোনসকে। সেই সংক্রান্ত নথি না থাকলেও অনুসন্ধানের ফলে মিলেছে এই তথ্য।
আগামী মাসে ডার্বিশায়ারে ওই ব্যাগের নিলাম হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ন্যূনতম দাম ধার্য করা হয়েছে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।