যুবরানি ডায়ানা।-ফাইল চিত্র।
কুড়ি কুড়ি বছরের পর...
মায়ের কথা আজ বড্ড মনে পড়ছে প্রিন্স উইলিয়াম আর প্রিন্স হ্যারির। আর আক্ষেপ হচ্ছে! কেন মায়ের টেলিফোনটা অত তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিয়েছিলেন, সেই আক্ষেপটা আর কিছুতেই যাচ্ছে না প্রিন্স উইলিয়ামের।
সুদূর প্যারিস থেকে মায়ের ফোনটা এসেছিল ১৫ বছরের উইলিয়াম আর ১২ বছরের হ্যারির কাছে। মৃত্যুর দিন, মধ্য প্যারিসের একটি টানেলে পাপরাৎজিদের (ফোটোগ্রাফার) হাত থেকে রেহাই পেতে বন্ধু ডোডি আল-ফায়েদের সঙ্গে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর কয়েক ঘণ্টা আগে।
মা ডায়ানাকে নিয়ে বানানো একটি তথ্যচিত্রে প্রিন্স উইলিয়াম বলেছেন, ‘‘এখন খুব আক্ষেপ হয়, কেন যে অত তাড়াহুড়ো করে ছেড়ে দিলাম মায়ের ফোনটা! মা যখন ফোন করেছিল, ভাবছিলাম কত তাড়াতাড়ি মাকে গুডবাই বলে হ্যারিকে নিয়ে খেলতে যাব। মা কথা বলে যাচ্ছিলেন। আর আমরা ‘সি ইউ লেটার’ বলে কত ক্ষণে মায়ের কাছে থেকে ছাড়া পাব ভাবছিলাম! এখন খুব আফশোস হয়! আরও কিছু ক্ষণ যদি মায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারতাম।’
উইলিয়ামের ছোট ভাই হ্যারির বয়স তখন ১২ বছর। তবু মায়ের সে দিনের সেই ফোন-কলটা এখনও আবছা আবছা মনে আছে হ্যারির। তাঁর কথায়, ‘‘সেই ফোনটার কথা মনে এলেই খুব কষ্ট হয়। প্যারিস থেকে মায়ের ফোনটা এসেছিল। মনে এলেই নানা ভাবে সেই ফোনটার কথা ভুলে যেতে চেষ্টা করি। খুব আক্ষেপ হয়, কেন যে অত অল্প সময়ের মধ্যে মাকে গুডবাই বলে ফোনটা নামিয়ে রেখেছিলাম!’’
আরও পড়ুন- বিধ্বংসী মিগ-৩৫ ভারতকে দিতে আগ্রহী রাশিয়া, শুরু হয়েছে আলোচনাও
ডায়ানার মৃত্যুর ২০ বছর পর তাঁকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র ‘ডায়ানা, আওয়ার মাদার: হার লাইফ অ্যান্ড লিগাসি’ তৈরি হয়েছে। সোমবার তা দেখানো হবে গোটা ব্রিটেনে।