ছবি: পিটিআই।
আমেরিকাকে তাঁদের দেশে সামরিক ঘাঁটি গড়তে দিলে সরাসরি সন্ত্রাসবাদীদের নিশানায় চলে আসবে পাকিস্তান। সেই কারণেই আমেরিকার সেনাবাহিনীকে পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ দিকে, আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা এবং ন্যাটো-র বাহিনী সরানোর প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই সে দেশে দৌরাত্ম্য বেড়েছে তালিবানের— এই যুক্তিতে সেনা প্রত্যাহারের গতি কমিয়ে আনছে আমেরিকা। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে পেন্টাগন।
দেশের মধ্যে আমেরিকাকে সামরিক ঘাঁটি গড়তে দিতে নারাজ ইমরানের বক্তব্য, ‘‘বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনীর অধিকারী আমেরিকা যদি গত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানের ভিতরে থেকেও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যুঝে উঠতে না-পারে, তা হলে পাকিস্তানে ঘাঁটি গড়ে সেটা কী ভাবে সম্ভব?’’ তাঁর আরও যুক্তি, আমেরিকার এই পদক্ষেপের জন্য যদি আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা হলে পাকিস্তানকেই সবার আগে নিশানা করবে সন্ত্রাসবাদীরা। সেই ঝুঁকি তাঁরা নিতে প্রস্তুত নন বলেই জানিয়েছেন ইমরান। তবে আফগানিস্তানে ‘রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা, স্থিতিশীলতা এবং আর্থিক উন্নয়ন স্থাপনের ক্ষেত্রে’ সব সময়ে তাঁরা আমেরিকার পাশেই আছেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
অন্য দিকে, একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিনের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের উপর সে দেশের সরকারের দমন নীতির প্রতিবাদে একটি শব্দও ব্যয় না-করে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তা রীতিমতো এড়িয়ে যান ইমরান! আমেরিকা এবং ইউরোপে মুসলিমদের বিরুদ্ধে হওয়া অত্যাচারের ক্ষেত্রে সরব হলেও এ নিয়ে কেন কিছু বলছেন না তিনি, সঞ্চালকের এই প্রশ্নের উত্তরে ইমরানের মন্তব্য, ‘‘আমি আমার দেশ এবং সীমান্ত অঞ্চলের ঘটনাগুলির উপরেই মনোনিবেশ করতে চাই।’’ সঙ্গে তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘চিনে যা হচ্ছে বলে মনে হয়, তা কি সত্যিই হচ্ছে? আমাদের সামনে অন্তত চিন অন্য ছবিই তুলে ধরেছে। আর আমাদের সঙ্গে চিনের যা যা আলোচ্য, তা নিয়ে বন্ধ দরজার ভিতরেই কথা বলব আমরা।’’