প্রতীকী ছবি
দিনে এক লাখ। গত এক সপ্তাহে করোনা-সংক্রমণের গড় হিসেবটা প্রায় এ রকমই দাঁড়িয়েছে। বিশ্বে সংক্রমণের গতি এখন সব চেয়ে বেশি। গত কাল ‘সার্স-কোভ-২’-এর এমন ভয়ানক সংক্রমণ ক্ষমতার কারণ ব্যাখ্যা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তাদের বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোনও করোনা-আক্রান্তের থেকে অন্যদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সব চেয়ে বেশি, যখন তাঁর শরীরে সবে উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
হু-র বক্তব্য এই বিশেষত্বটির জন্যই, এ ভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে। যত ক্ষণে রোগী বুঝতে পারছেন তিনি আক্রান্ত, বা চিকিৎসকেরা তাঁকে চিহ্নিত করতে পারছেন, তত ক্ষণে তাঁর থেকে অনেকে সংক্রমিত হয়ে গিয়েছেন। সাংবাদিক বৈঠকে হু-র এপিডিমিয়োলজিস্ট মারিয়া কেরকোভ বলেন, ‘‘খুব সীমিত তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে। তা থেকে বিষয়টি সম্পর্কে যা বোঝা যাচ্ছে, তা হল— যে সময়ে আক্রান্তের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করছে, সে সময়ে তাঁর শরীরে অনেক ভাইরাস থাকে।’’ অর্থাৎ তাঁর থেকে অন্যদের সংক্রমণের আশঙ্কা তখন সব চেয়ে বেশি। জার্মানি ও আমেরিকার গবেষণার উদাহরণ টেনে মারিয়া জানান, যাঁদের শরীরে খুব সামান্য উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের থেকেও ৮-৯ দিন সংক্রমণ ঘটতে পারে। যাঁদের অবস্থা গুরুতর হয়ে ওঠে, তাঁদের থেকে সংক্রমণ ছড়ায় আরও অনেক বেশি।
এরই মধ্যে নোভেল করোনাভাইরাসের উৎসস্থল, চিনের উহানে শীঘ্রই দূতাবাস খুলে দিতে চলেছে আমেরিকা। আজ এ কথা জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।