ভ্লাদিমির পুতিন (বাঁ দিকে) এবং কিম জং উন (বাঁ দিকে)। —ফাইল চিত্র।
উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্রবোঝাই জাহাজ পৌঁছচ্ছে রাশিয়ায়! উপগ্রহচিত্র দেখিয়ে এমনটাই দাবি করল আমেরিকা। যদিও এই উপগ্রহচিত্রের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। শনিবার আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, তাঁদের কাছে খবর রয়েছে যে, চলতি সপ্তাহেই প্রচুর অস্ত্র রাশিয়ায় পাঠিয়েছে আমেরিকা। নিজেদের দাবির সপক্ষে উপগ্রহচিত্রটি প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেই ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া অস্ত্রচুক্তি করেছে বলে খবর ছড়িয়েছে। আমেরিকার তরফে এমন চুক্তির কথা দাবি করা হলেও, সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি রাশিয়া কিংবা উত্তর কোরিয়ার তরফে। শনিবার কিরবি উত্তর কোরিয়ার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “রাশিয়াকে অস্ত্র তুলে দেওয়ার এই সিদ্ধান্তের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। এই অস্ত্রগুলি ইউক্রেনের জনপদ এবং নিরীহ ইউক্রেনবাসীর উপর হামলা চালানোর জন্য ব্যবহার করা হবে।”
উপগ্রহচিত্রে দেখা যাচ্ছে উত্তর কোরিয়ার বন্দর থেকে বেরিয়ে জাহাজগুলি ঢুকছে দক্ষিণ-পশ্চিম রাশিয়ার বন্দরগুলিতে। অস্ত্রবোঝাই জাহাজগুলিতে লাগানো রয়েছে রুশ পতাকা।
আমেরিকার তরফে এ-ও জানানো হয়েছে যে, তারা মনে করে, অস্ত্রের বিনিময়ে রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধপ্রযুক্তি শিখতে চাইছে উত্তর কোরিয়া। কিছু দিন আগেই রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমের তরফে জানা যায়, ব্যক্তিগত বুলেটপ্রুফ ট্রেনে চেপে পূর্ব রাশিয়ার খাসানে পৌঁছন কিম। সেখান থেকে সড়কপথে যান ব্লাডিভস্তকে। ব্লাডিভস্তক থেকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে, উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র কসমোড্রোমে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। জানান যে, নিজেদের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা রক্ষায় আধিপত্যকামী শক্তির বিরুদ্ধে যে ‘পবিত্র লড়াই’ করছে রাশিয়া, তাকে সমর্থন করছে উত্তর কোরিয়া।