জাসিন্ডা আর্ডেনে এবং ক্রিস হপকিন্স। —ফাইল চিত্র।
নিউ জ়িল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে হেরে গেল লেবার পার্টি। সে দেশের সাধারণ নির্বাচনের যে ফল এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ৯২ শতাংশ বৈধ ভোটের ৩৯ শতাংশ নিজেদের অনুকূলে আনতে পেরেছে বিরোধী দল ন্যাশনাল পার্টি। ন্যাশনাল পার্টির জোটসঙ্গী দল এসিটি পেয়েছে ৯ শতাংশ ভোট।
প্রাথমিক ফলে পরাজয়ের ইঙ্গিত পেয়েই হার স্বীকার করে নেন নিউ জ়িল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তথা লেবার পার্টির নেতা ক্রিস হপকিন্স। তিনি বলেন, “আমরা সরকার গড়ার অবস্থায় নেই।” দেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল পার্টির প্রধান ক্রিস লাক্সনকে অভিনন্দন জানান হপকিন্স।
নির্বাচনী প্রচারে মধ্যবিত্ত ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিল ন্যাশনাল পার্টি। মনে করা হচ্ছে মধ্যবিত্তদের মনে আশার সঞ্চার করতে না পারা এবং মুদ্রাস্ফীতিতে লাগাম পরাতে না পারার জন্যই ক্ষমতাচ্যুত হতে হল লেবার পার্টিকে। জয় নিশ্চিত হতেই ভোটদাতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে লাক্সন বলেন, “আমরা দেশকে আরও ভাল ভাবে গড়ে তুলব।”
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নিউ জ়িল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন লেবার পার্টির নেত্রী জাসিন্ডা আর্ডেন। ইস্তফা দেওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, ‘‘অনেক হয়েছে, এ বার আমি দায়িত্ব ছেড়ে দেব।’’ প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে তাঁর অনীহার কারণ জানতে চাওয়া হলে জাসিন্ডা বলেন, ‘‘এমন একটি বিশেষ পদের সঙ্গে গুরুদায়িত্বও আসে। কখন নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আপনি সঠিক ব্যক্তি আর কখন নন, তা বোঝার দায়িত্বও আপনারই।’’ কোভিড অতিমারি রুখতে জাসিন্ডার কাজের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্ব জুড়ে। সেই জাসিন্ডাই যখন হঠাৎ পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত জানান, শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সারা বিশ্বেই।
জাসিন্ডা পদত্যাগ করার পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন হপকিন্স। ২০১৭ সালে ক্ষমতায় এসেছিল লেবার পার্টি। ন্যাশনাল পার্টি আদর্শগত দিক থেকে দক্ষিণপন্থী বলেই পরিচিত। তাই এই রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে অতলান্তিক মহাসাগরের এই দেশটির নীতিগত ক্ষেত্রে একাধিক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।