ছবি রয়টার্স।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করার ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যান্টিবডির খোঁজ মিলেছে বলে দাবি করছেন ইউট্রেখট বিশ্ববিদ্যালয়, ইরাসমাস মেডিক্যাল সেন্টার এবং হারবার বায়োমেড-এর গবেষকরা। নেদারল্যান্ডসের ইউট্রেখট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বেরেন্ড-ইয়ান-বশ বলছেন, ‘‘মানবদেহে সার্স-কোভ অ্যান্টিবডিকে ব্যবহার করেই এমন একটি অ্যান্টিবডির হদিস পাওয়া গিয়েছে যা সার্স-কোভ-২-এর সংক্রমণও ভোঁতা করে দিতে পারে।’’ এই গবেষণার হাত ধরে কোভিড-প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির সাহায্যে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সম্ভব হতে পারে বলে আশা করছেন ওঁরা।
এমনিতে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সামনের বছরও ফিরে আসতে পারে করোনা। লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের ডেভিড নেবারো কোভিড-১৯ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ দূত। তাঁর বক্তব্য, “আমরা নিশ্চিত বলতে পারি না যে, প্রতিষেধক মিলবেই। প্রতিষেধক না-পাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।” ১৯৮৪-তে মার্কিন স্বাস্থ্যসচিব অজানা একটি ভাইরাসের কথা জানিয়ে দাবি করেছিলেন, এর প্রতিষেধক তৈরি হয়ে যাবে দু’বছরেই। ৩৬ বছরে ৩.২ কোটি মানুষের প্রাণ নেওয়ার পরেও তা সম্ভব হয়নি। ভাইরাসটির নাম, এইচআইভি। ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক অনুসন্ধানের ইতিহাস আরও দীর্ঘ। হারানো যায়নি ডেঙ্গিকেও। ফি বছর তা ৪ লক্ষ প্রাণ কাড়ছে। তাই নেবারোর হুঁশিয়ারি, “নোভেল করোনাভাইরাসকে নিরন্তর মোকাবিলা করে চলার জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত থাকতে হতে পারে।”
তবে অন্য বিজ্ঞানীদের অধিকাংশই আশাবাদী। কারণ, এইচআইভি বা ম্যালেরিয়ার জীবাণুর মতো দ্রুত পরিণতি পায় না নোভেল করোনাভাইরাস। ইনফ্লুয়েঞ্জার জীবাণুর চেয়ে এর মিউটেশনের গতি কম। ব্রিটেনের ‘ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজ়িজ়েস’-এর ডিরেক্টর অ্যান্টনি ফাউচিও মনে করেন, এক-দেড় বছরেই মিলতে পারে প্রতিষেধক। ইতিমধ্যে বশদের গবেষণার কথা প্রকাশ্যে আসায় কিছুটা হলেও আশায় বুক বাঁধছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এখনই জোর দিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ‘দরজা’ খুলছে ইটালি, দেশ নিয়ে চিন্তায় ট্রাম্প
আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে ফেরানো হবে কেবল উপসর্গহীন ভারতীয়দের
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)