গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বাংলাদেশের আমজনতার কাছে ভোট বয়কটের আবেদন জানিয়ে প্রচারে নামল সে দেশের প্রধান বিরোধী দল ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি’ (বিএনপি)। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল জাতীয় সংসদের আসন্ন নির্বাচনকে শাসক দল আওয়ামী লিগের তৈরি ‘ডামি বিরোধী দল’ এবং ‘ডামি প্রার্থী’দের নির্বাচন বলেছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি শনিবার বলেন, ‘‘এই সাজানো নির্বাচন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে না।’’
বিএনপির পাশাপাশি ১২-দলীয় বিরোধী জোটের শরিক এলডিপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, গণফোরাম (একাংশ) এবং ‘পিপলস পার্টি’ও ভোট বয়কটের প্রচারে শামিল হয়েছে বলে বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলো জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা শহরে প্রচারপত্র বিলির মাধ্যমে ভোট বয়কটের প্রচারের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। শুক্রবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বিএনপি এবং তার সহযোগীদের প্রচার। এই পরিস্থিতিতে ভোটের আগে রাজনৈতিক সঙ্ঘাত এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
উত্তেজনার এই আবহে ভোট বয়কটের প্রচারে নামা দলগুলিকে ‘সতর্কবার্তা’ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তথা শাসক আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘‘জনগণ যাঁদের ভোট দেবেন, তাঁরা নির্বাচিত হবেন। অশান্তি করলে উপযু্ক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থী-নেতা-কর্মীদেরও বিরোধী পক্ষের প্ররোচনায় ‘পা না দেওয়ার’ ক়ড়া নির্দেশ দেন তিনি। হাসিনা বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগের কেউ সঙ্ঘাতে জড়ালেও রেহাই পাবেন না।’’
আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের মোট ৩০০টি আসনে নির্বাচন হবে। ভোটপর্ব মিটলেই শুরু হবে গণনা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদার নেতৃত্বাধীন বিএনপি এবং তাদের সহযোগী জামাতে ইসলামি-সহ কয়েকটি দল নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হাসিনার নেতৃত্বে কোনও সরকারের তত্ত্বাবধানে জাতীয় সংসদের নির্বাচন হলে তারা অংশ নেবে না। ‘নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থাপনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির আন্দোলন ঘিরে ইতিমধ্যের রাজধানী ঢাকা-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে।