ছবি: রয়টার্স
মাত্র ২৮ দিনের ব্যবধানে ছোট ছোট ৪০ হাজার ভূমিকম্পে কাবু আইসল্যান্ড। দেশের রাজধানী রেইকেভিকের সামান্য দূরেই জেগে উঠেছে শক্তিশালী আগ্নেয়গিরি। ধীরে ধীরে লাভা গ্রাস করছে মাটি।
রাজধানী থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি আগ্নেয়গিরি থেকে শুরু হয়েছে লাভা উদ্গীরণ। ১২ শতক পরে এই প্রথমবার শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটা নাগাদ এই আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা বেরিয়ে আসতে শুরু করে। ইতিমধ্যে সেটি প্রায় ১ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় শহর গ্রিনডাভিকের বাসিন্দা জানিয়েছেন, জানলা দিয়ে দেখা যাচ্ছে রক্তবর্ণ আকাশ। সকলেই গাড়িতে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে চাইছেন। প্রশাসনের তরফ থেকে সাধারণ মানুষকে বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে, কারণ আগ্নেয়গিরির ছাই ও বিষাক্ত গ্যাস চোখে-মুখে গেলে ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে।
মনে করা হচ্ছে, এ সবের পিছনে রয়েছে বিপুল সংখ্যায় ভূমিকম্পের ঘটনা। একদিকে যখন ২০১৪ সাল থেকে ১০০০-৩০০০ কম্পন অনুভূত হয়েছিল, তখনই শেষ ২৮ দিনে ৪০ হাজার কম্পন হয়েছে। ৫০০ থেকে ৭৫০ মিটার দীর্ঘ একটি লাভা মুখ তৈরি হয়েছে। যেখান থেকে লাভা ১০০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় ছিটকে বেরিয়ে আসছে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
ইউরেশিয়ান ও উত্তর আমেরিকার টেকটনিক প্লেটের মাঝে থাকা আইসল্যান্ডে মাঝেমধ্যেই কম্পন হয়, কারণ এই দুই প্লেটের গতিপথ বিপরীত দিকে। তারপর উপর লাভার স্রোত চিন্তা বাড়িয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আপাতত কম্পন কমলেও লাভা উদ্গীরণ কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। এখনও পর্যন্ত কোনও বিমানবন্দর বন্ধ করা হয়নি। তবে বিমান উড়বে কি না, সে বিষয়ে বিমান সংস্থাগুলিকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।