রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফাইল চিত্র।
আগামী সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে শুরু হতে চলেছে জি-২০ অধিবেশন। তবে তাতে যোগ দেবেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইন্দোনেশিয়ার এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও বেশ কিছু আধিকারিক যোগ দিলেও আসছেন না পুতিন। শুধু একটি বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন তিনি।
এ দিকে, দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন শহর থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই শোইগুর তরফে এই নির্দেশকে প্রকারান্তরে রাশিয়ার হার বলেই মনে করছে ইউক্রেন প্রশাসনের একাংশ।যদিও, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের প্রধান উপদেষ্টার মতে, এক মাত্র খেরসনের উপরে ইউক্রেনের পতাকা ফের উড়লেই যুদ্ধ থামার ইঙ্গিত পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, এই সেনা সরানোর সিদ্ধান্তের পরেই জানা গিয়েছে, জি-২০ বৈঠকে যোগ দেবেন না পুতিন।
রুশবাহিনীর ইউক্রেনে হামলা শুরু হওয়ার পর থেকেই জি-২০ অধিবেশনে পুতিনকে আমন্ত্রণ না করার জন্য ইন্দোনেশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করছিল পশ্চিমের দেশগুলি ও ইউক্রেন। পাশাপাশি, আবেদন করা হয়েছিল সদস্যপদ থেকে রুশ প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দেওয়ারও। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, অধিবেশনে পুতিনের সঙ্গে দেখা করার কোনও ইচ্ছে নেই তাঁর। ইন্দোনেশিয়া অবশ্য বার বার জানিয়ে এসেছে এই বিষয়টি তাদের হাতে নেই। সদস্য দেশগুলি এক মত হলেও এক মাত্র পুতিনকে বাদ দেওয়া সম্ভব।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো এই প্রসঙ্গে বলেন, জি-২০ কিন্তু রাজনীতি আলোচনার বৈঠক নয়। কিন্তু এখন পরিস্থিতি এমনই দেশগুলির অর্থনীতি ও উন্নতি নিয়ে আলোচনায় ছাপ ফেলবে রাজনীতি।
বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কিও। তবে তিনি ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন।