মারিয়া মারি। ছবি সংগৃহীত
ছিল রুমাল হয়ে গেল বিড়াল! ব্যাপারটা খানিকটা সে রকমই দাঁড়িয়েছিল মেক আপ শিল্পী মারিয়া মারির ভিডিয়োয়। মেক আপে তাঁর আমূল বদলে ফেলা রূপ চমকে দিয়েছিল নেটাগরিকদের। কিন্তু সেই বদল তাঁদের একেবারেই পছন্দ হয়নি। ভিডিয়োর মন্তব্য বিভাগে মারিয়াকে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁর দাগ-ছোপধরা ত্বকই তাঁদের বেশি পছন্দের।
মারিয়া একজন টিকটক তারকা। ব্রাজিলের তরুণী। গত পাঁচ বছর ধরে টিকটকে মেক আপ করার নানা ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। অনুগামী সংখ্যা ১ কোটি ৬০ লক্ষ। মারিয়ার ত্বকের বিশেষত্ব হল তাঁর গোটা মুখটাই দাগে ভরা। এই ধরনের ছোপ দাগকে ফ্রেকলস বলে। বিদেশিদের কাছে ফ্রেকলস বিষয়টি তেমন অপছন্দের নয়। বরং অনেকেই রীতিমতো কৃত্রিম পদ্ধতিতে মুখে ফ্রেকলস তৈরি করেন। ব্রাজিলের ওই তরুণী তাঁর সাজগোজের ভিডিয়োয় সেই ফ্রেকলস ঢেকে দেওয়াতেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। কেউ বলেন, তোমাকে স্বাভাবিক ত্বকেই ভাল লাগে। কারও প্রশ্ন ফ্রেকলসগুলো ঢাকলে কেন? ওগুলি ছাড়া খারাপ লাগছে তোমায়।
মারিয়া ওই ভিডিয়োটি ট্রান্সফর্মেশন ভিডিয়ো নামেই পোস্ট করেছিলেন। এই ধরনের মেক আপ ট্রান্সফরমেশন বা রূপান্তর ভিডিয়োয় সাধারণত মেক আপের আগে এবং পরে রূপ পুরোপুরি বদলে যায়। মারিয়ার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তাঁকে চেনাই যাচ্ছিল না মেক আপের পর। নেটাগরিকদের প্রতিবাদে মারিয়া অবশ্য এতে রেগে যাননি। বরং মেক আপ নিয়ে মাতামাতির যুগে তাঁর স্বাভাবিক ত্বক যে সমাদৃত হচ্ছে, এতে তিনি খুশিই হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নেটমাধ্যমে।