জারবোয়া। ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া ছবি।
প্রকৃতিতে কত যে বিচিত্র সব সৃষ্টি রয়েছে তা সত্যিই অবাক করে। যেমন এই প্রাণীটির কথাই ধরুন, এটি অনেকটা ইঁদুরের মতো দেখতে, কান, পা, লেজ বা মাথা আলাদা আলাদা করে দেখলে আবার ধন্দে পড়ে যেতে পারেন। এক একটা এক এক প্রাণীর মত। কোনও শিল্পীর কল্পনা নয়, বাস্তবেই এমন অদ্ভুত দর্শন প্রাণী রয়েছে। সম্প্রতি এর কিছু ছবি, ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
প্রাণীটির নাম জারবোয়া। এরা তীক্ষ্ণ দাঁত বিশিষ্ট ইঁদুর, কাঠবেড়ালির রডেন্ট পরিবারের সদস্য। মূলত এরা উষ্ণ মরু এলাকায় বসবাস করে। জারবোয়াদের আরব, আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলে, মধ্য এশিয়ার কিছু কিছু এলাকায় দেখা মেলে। কোনও শিকারীর তাড়া খেলে এরা ঘণ্টায় ২৪ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে ছুটে পালাতে পারে। এশিয়ায় কিছু প্যাঁচা এদের শিকার করে।
জারবোয়া শরীরে যেন অনেকগুলি প্রাণীর মিশ্রণ। এদের শরীরের মূল গঠন ইঁদুরের মতো, আবার মুখের সামনে তুণ্ডটি শুকরের সঙ্গে কিছুটা মেলে। তবে কানের দিকে নজর পড়লেই এটিকে খরগোসের সঙ্গে গুলিয়ে ফলতে পারেন। আবার পিছনের পাগুলি ইঁদুর বা শুকরের সঙ্গে মেলে না, সেগুলি আবার ক্যাঙারুর পিছনের পায়ের মতো। লেজ ছাড়া এদের শরীরের মূল অংশের দৈর্ঘ্য ২.৮ ইঞ্চি থেকে ৩.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। লেজটি আবার শরীরের থেকে প্রায় দ্বিগুন লম্বা, তার আগায় আবার রয়েছে এক গোছা লোম।
আরও পড়ুন: এ যেন ‘রামধনু’ ভুট্টা, এমন মুক্তোর মতো দানা পেতে পারেন আপনার বাগানেও
আজ থেকে ১৩ বছর আগে ২০০৭ সালে প্রথম এই অদ্ভুত প্রাণীটি ক্যামেরাবন্দি হয়। গোবি মরুভূমিতে এক অভিযানে প্রাণীটির ছবি তুলতে সক্ষম হয় জুলজিক্যাল সোস্যাইটি অব লন্ডন। নিশাচর এই প্রাণী বালি বা মাটির নীচে সারাটা দিন কাটায়। খাবার সংগ্রহের জন্য রাতের অন্ধকারে বের হয়। এরা সাধারণত পতঙ্গ খেয়ে বেঁচে থাকে। এদের পিছনের পাগুলি শরীরের তুলনায় লম্বা ও শক্তিশালী হওয়ায় এরা সামনের দিকে বা উপরের দিকে অনেকটা লাফিয়ে পতঙ্গ ধরতে পারে। এরা সাধারণত দুই থেকে তিন বছর বাঁচে।
আরও পড়ুন: বৃহত্তম হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণের গোপন ভিডিয়ো প্রকাশ করল রাশিয়া
অনেকে আবার এদের পোষ মানিয়ে বাড়িতে রাখেন। এমনই কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে পাওয়া গিয়েছে। তবে সেই পোস্টগুলির কমেন্টে নেটাগরিকরা তাঁদের ধন্দের কথাই প্রকাশ করেছেন। অনেকেই বুঝতে পারছেন না আসলে প্রাণীটি কী! দেখুন তো, আপনি জারবোয়ার সঙ্গে কোন প্রাণীর বেশি মিল পাচ্ছেন।
A post shared by @ ina_aaa on
A post shared by Zoological Society of London (@officialzsl) on
A post shared by Joel Sartore- Photo Ark (@joelsartore) on