কাঁদতে কাঁদতে অনুশীলন। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
ছ’বছরের ফুটফুটে একটা বাচ্চা মেয়ে। নাম লি ইই। লি প্যাডেল হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে টেবিল টেনিসের বোর্ডের এক প্রান্তে। ও পার থেকে একের পর এক টেনিস বল ছুড়ে যাচ্ছেন তার কোচ। প্রবল ক্ষিপ্রতায় একের পর এক শট নিয়ে সেগুলিকে ফেরত পাঠাচ্ছে বাচ্চা মেয়েটি। শট মারতে মারতেই তার চোখ দিয়ে ঝরছে জল। শট মারা থামিয়ে মাঝেমধ্যে এক হাতে চোখের জল মুছছে সে। সে সময় তার কোচকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘তুমি যদি ধৈর্য রাখতে না পারো, বেরিয়ে যাও।’
তিন মিনিটের ভিডিয়োটি চিনের একটি টেবিল টেনিস প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের। ‘এক্সপার্ট’ তৈরির আশায় বাবা-মা লি-কে পাঠিয়েছে সেখানে। কঠোর প্রশিক্ষণের চাপে ওইটুকু মেয়ের কী রকম হাঁসফাঁস অবস্থা হচ্ছে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে ভিডিয়ো।
চিনের একটি সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক পেজে সম্প্রতি আপলোড করা হয়েছে এই ভিডিয়ো। যা ইতিমধ্যেই দেখা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ বার। তার পরই ওইটুকু মেয়ের উপর এ রকম অসম্ভব চাপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন নেটিজেনরা।
শট মারা ছাড়াও পায়ের ট্রেনিংও করতে দেখা যাচ্ছে লি-কে। এগুলি একটি ট্রেনিং সেশনরই অঙ্গ। জানা গিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে এ রকম পাঁচ-ছ’টি ট্রেনিং সেশন করতে হয় লি-এর মতো বাচ্চাদের। যা পেশাদার খেলোয়াড়দের থেকে কোনও অংশে কম নয়। সে জন্যই ওইটুকু বাচ্চাদের এই কঠোর অনুশীলন চাপিয়ে দেওয়ার ক্ষোভ গোপন করেনি নেটদুনিয়া।
দেখুন সেই ভিডিয়ো—