Viral video

ইন্দোনেশিয়ার হোটেলে জিনিসপত্র চুরি করে দেশের নাম ডোবাল ভারতীয় পরিবার

গপত্র খুলে হোটেল কর্মীরা একের পর এক হোটেলের জিনিস উদ্ধার করছেন। তার মধ্যে রয়েছে, আয়না, সৌখিন ঘর সাজানো কিছু জিনিস, তরল সাবান রাখার পাত্র, হেয়ার ড্রায়ার

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বালি শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯ ১৬:৩৭
Share:

ব্যাগ থেকে উদ্ধার হচ্ছে হোটেলের জিনিস। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

ইন্দোনেশিয়ার বালির একটি হোটেল থেকে পর্যটকদের ব্যবহারের জন্য রাখা জিনিসপত্র চুরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র নিন্দার মুখে পড়ল এক ভারতীয় পরিবার। চুরি হওয়া জিনিসপত্র উদ্ধারের ভিডিয়ো টুইটারে আপলোড হয়েছে। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। নিন্দা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Advertisement

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একটি গা়ড়ির ডিকি খুলে পর্যটকদের ব্যাগপত্র নীচে নামানো রয়েছে। সেই ব্যাগপত্র খুলে হোটেল কর্মীরা একের পর এক হোটেলের জিনিস উদ্ধার করছেন। তার মধ্যে রয়েছে, আয়না, সৌখিন ঘর সাজানো কিছু জিনিস, তরল সাবান রাখার পাত্র, হেয়ার ড্রায়ার। অর্থাত্ একটা হোটেলের রুম থেকে যা যা নেওয়া সম্ভব প্রায় সবই ব্যাগে ঢুকিয়ে নিয়েছিলেন তাঁরা।

একের পর এক জিনিস উদ্ধার হচ্ছে আর হোটের কর্মীরাভারতীয় ওই পরিবারকে কড়া কথা শোনাচ্ছেন। একসময় পর্যটকদের মধ্যে কেউ একজন বলেন,আমরা এর জন্য টাকা দিয়ে দেব। কিন্তু উত্তরে হোটেল কর্মী বলেন, “এটা টাকার বিষয় নয়, আমি জানি আপনাদের প্রচুর টাকা আছে, কিন্তু এটা সম্মানের বিষয়।”

Advertisement

আরও পড়ুন : ৪৪২ টাকায় কলা বেচে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার মুখে পাঁচ তারা হোটেল

আরও পড়ুন : এ যেন বেহুলা, মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামীকে আগ্নেয়গিরি থেকে টেনে তুললেন মহিলা

একসময় হাতে পায়ে ধরে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করতে দেখা যায় ভারতীয় ওই পরিবারের এক ব্যক্তিকে। কিন্তু হোটেল কর্মীরা এতটাই বিরক্ত যে তাঁরা মোটেই সেই অনুরোধ পাত্তা দিতে চাননি। এক মহিলাকে বলতে শোনা যায়, পুলিশে যেন খবর না দেওয়া হয়।

এই ভিডিয়ো সামনে আসতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে।

বিদেশের মাটিতে এভাবে দেশের নাক কাটানোর জন্য তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় ওই পরিবারকে। এই ঘটনার নিন্দা করেছেন অভিনেত্রী মিনি মাথুরও।

শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা২২ জুলাইসুইৎজারল্যান্ডের একটি হোটেলের নোটিসের ছবি দিয়ে টুইট করেছিলেন। নোটিসে ভারতীয় পর্যটকদের উদ্দেশে লেখা হয়েছে তাঁরা অন্যদের অসুবিধা হয় এমন জোরে কথা না বলেন। একজনের প্রাতরাশ শুধু সকালে খাওয়ার জন্য। দুপুর ও রাত্রে খাওয়ার আলাদা ব্যবস্থা আছে, তা টাকা দিয়ে কিনতে হবে। হর্ষ গোয়েঙ্কা লিখেছেন, এই নোটিস দেখে তাঁর রাগ হয়েছিল। কিন্তু ভারতীয়দের সম্পর্কে যাতে বিশ্বের বাকিদের ধারণা পরিবর্তন হয় সেই চেষ্টার কথাও বলেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement