জেলের ভিতরে তখনও পণবন্দি দুই কারারক্ষী। বাইরে প্রহরায় বিশেষ বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত
কপ্টারের বদলে দেওয়া হয়েছিল পিৎজা। তবে তাতেই খুশি হয়ে বায়না ভুলল দুই কয়েদি। সুইডেনের একটি জেলের দু’জন রক্ষীকে ন’ঘণ্টা পণবন্দি করে রেখেছিল তারা। মুক্তিপণ হিসেবে একটি হেলিকপ্টার দাবি করেছিল জেল কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে পিৎজা হাতে পাওয়ার পর আর সেই প্রসঙ্গই তোলেনি দুই কয়েদি। উল্টে বন্দি কারারক্ষীদেরও বিনা বাধায় যেতে দিয়েছে তারা।
খবরটি প্রকাশিত হয়েছে সুইডেনের একটি সংবাদপত্রে। স্টকহলম থেকে ৭০ কিলোমিটার পশ্চিমে সুইডেনের একটি জেলে বন্দি ওই দুই কয়েদি। দু’জনেই খুনের আসামী। এদের একজনের বয়স ২৪। নাম হানেদ মহামেদ আবদুল্লাহি। আর তার সঙ্গী আইজ্যাক দিউইতের বয়স ৩০। সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। দাড়ি কামানোর ধারালো ব্লেড নিয়ে রক্ষীদের ঘরে চড়াও হয় দুই কয়েদি। দু’জন কারারক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে ওই ঘরেই বন্দি করে ফেলে নিজেদের।
খবর পেতেই জেলটির সমস্ত বেরনোর রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। নামানো হয় বিশেষবাহিনীও। সেইসঙ্গে একজন মধ্যস্থতাকারীকে পাঠানো হয় কয়েদিদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। তিনি জানিয়েছেন, কয়েদিরা প্রথমে মুক্তিপণ হিসেবে একটি হেলিকপ্টারের দাবি জানালেও শেষে দর কষাকষিতে নেমে আসেন পিৎজায়। স্থানীয় ব্র্যান্ড কাবাব শপের ২০টি পিৎজার বদলে কারারক্ষীদের ছাড়তে রাজি হয়ে যায় তারা।
জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ পিৎজা পৌঁছে দেওয়া হয় কয়েদিদের কাছে। তার পাঁচ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ন’টায় দুই কারারক্ষীকে ছেড়ে দেয় তারা। আপাতত ওই দুই কয়েদিকে থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ। পণবন্দি দুই কারারক্ষীকে অক্ষত অবস্থাতেই পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।